বিপ্লব সিকদার।।
ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় পরিবেশ উপদেষ্টার বক্তব্য“আমি উপদেষ্টা হয়েও লুট বন্ধ করতে পারিনি”শুধু ব্যক্তিগত ব্যর্থতার স্বীকারোক্তি নয়, বরং এটি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার প্রমাণও বটে। এই বক্তব্যের পর বিএনপি ও এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় প্রশাসনের ভূমিকা কী ছিল?যখন একজন উপদেষ্টা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন যে তিনি আগেই বিষয়টি জানতেন, তখন ধরে নেওয়া যায় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরেও খবর পৌঁছেছিল। রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, প্রাকৃতিক সম্পদ অবৈধভাবে উত্তোলন ঠেকানো প্রশাসনের মৌলিক দায়িত্ব। তবুও যদি তারা তাৎক্ষণিক অভিযান না চালিয়ে, চুপচাপ লুট চলতে দেয়, তবে এটি শুধু দায়িত্বে অবহেলা নয় এটি নীরব সহযোগিতাও হতে পারে।এখানে “ক্ষমতার অভাব” যুক্তি টিকবে না। বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর মাত্র দুই মাসেই প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। অর্থাৎ চাইলেই লুট বন্ধ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু কেন তা হলো না? রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছায়া, স্থানীয় প্রশাসনের দুর্নীতি, নাকি উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশের অপেক্ষা, এ প্রশ্নের উত্তর জাতির জানা জরুরি।রাজনৈতিক দল অভিযুক্তদের সাংগঠনিক শাস্তি দিয়েছে, কিন্তু সেটি কেবল দলীয় ব্যাপার। জাতীয় সম্পদ লুটের দায় শোধ হবে না শুধুমাত্র বহিষ্কার বা পদ হারানোর মাধ্যমে, এখানে প্রয়োজন আইনি ব্যবস্থা, মামলা ও আদালতের রায়। প্রশাসন যদি জানার পরেও ব্যবস্থা না নেয়, তবে তারাও আইনের চোখে অপরাধে সহযোগী।