নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে খুলনা অঞ্চলের ৯৮টি আসনের মধ্যে সাতক্ষীরা-০৩ ও ০৪, যশোর-০৩ ও ৬ এবং পূর্বের ন্যায় বাগেরহাট ৪টি আসনের শুনানি শেষ হয়েছে।
এরপর দুপুর আড়াইটা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঝালকাঠি-১, বরগুনা-১, ২, পিরোজপুর-১, ২, ৩, চট্টগ্রাম-৩, ৫, ৮, ১৯, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান আসনের শুনানি হবে।
সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবন মিলনায়তনে এই শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের সঞ্চালনায় শুনানিতে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
এদিন খুলনা অঞ্চল, বরিশাল অঞ্চল ও চট্টগ্রাম অঞ্চল দাবি আপত্তির শুনানি হবে।
চারদিনের এই শুনানি চলবে বুধবার (২৭ আগস্ট) পর্যন্ত। এ চারদিনে এক হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির শুনানি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শুনানি গ্রহণের পর পর্যালোচনা করে ৩০০ আসনের গেজেট প্রকাশ করা হবে।
গত ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে ভোটার সংখ্যার সমতা আনতে গিয়ে গাজীপুর জেলায় একটি আসন বাড়িয়ে ৬টি করা হয়। এবং বাগেরহাটের আসন ৪টি থেকে কমিয়ে ৩টির প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়া পরিবর্তন আনা হয় ৩৯টি আসনে। এগুলো হলো—পঞ্চগড় ১ ও ২; রংপুর ৩; সিরাজগঞ্জ ১ ও ২; সাতক্ষীরা ৩ ও ৪; শরীয়তপুর ২ ও ৩; ঢাকা ২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯; গাজীপুর ১, ২, ৩, ৫ ও ৬; নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪ ও ৫; সিলেট ১ ও ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩; কুমিল্লা ১, ২, ১০ ও ১১; নোয়াখালী ১, ২, ৪ ও ৫; চট্টগ্রাম ৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট ২ ও ৩ আসন।
গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৩টি আসনের সীমানা নিয়ে ১ হাজার ৭৬০টি দাবি আপত্তি জমা পড়ে ইসিতে। এগুলোই নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ করবে ইসি।
এদিকে বাগেরহাটের একটি আসন কমানোর প্রতিবাদে এবং আগের চারটি আসন অপরিবর্তিত রাখার দাবিতে সকাল থেকে নির্বাচন ভবনের সামনে মানববন্ধন করছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।