• শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
মেঘনায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গণমিছিলকে কেন্দ্র করে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ, সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ মেঘনায় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত সদর দক্ষিণ সার্কেল অফিসে পুলিশ সুপারের বার্ষিক পরিদর্শন মেঘনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: হাসপাতালকে জরিমানা, ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা সাপ আতঙ্কে মেঘনা সাব-রেজিস্টারের অস্থায়ী অফিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্থানান্তরের দাবি জনসাধারণের কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ, উন্নয়ন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রধান অতিথির কঠোর সমালোচনা গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এখানে যদি দুর্নীতি চায় কি না—এমন গণভোট করি শতভাগ মানুষ ভোট দেবে ‘চাই না’ : দুদক চেয়ারম্যান কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আক্তারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার মেঘনায় প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আমাদের সমাজ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ৮৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

বিপ্লব সিকদার :

বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষের জীবনের চিত্র আজ গভীর সংকটময়। রাষ্ট্র, সমাজ বা রাজনৈতিক দল,কেউই যেন এই শ্রেণির মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। বরং ক্ষমতাসীন ভদ্রলোকেরা তাদের কথার মালা, প্রতিশ্রুতির গ্যারা টোপ আর ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে নিজেদের বিলাসিতা টিকিয়ে রেখেছে। অথচ এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সেবা পৌঁছায় না, বরং প্রতিনিয়ত আসে নতুন নতুন বঞ্চনা ও নির্যাতন।আজকে গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ এক অদৃশ্য আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। কে কখন কাকে হেয় করবে, কার ইজ্জত কেড়ে নেবে, মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করা যাবে তো, এই প্রশ্নগুলো প্রতিনিয়ত সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে। নালিশ করতে গেলেও সমস্যা আছে; কারণ কর্তা-বাবুদের কাছে অভিযোগ মানে হলো নতুন করে হয়রানি আর খরচের বোঝা, যা দিয়ে একটি পরিবারের অন্ন জোটানোই হয়ে পড়ে কষ্টকর। তাই অধিকাংশ মানুষ চুপচাপ সহ্য করাই শ্রেয় মনে করে।কিন্তু কতদিন এভাবে চলবে? মুখ খুললেই বিপদ, প্রতিবাদ করলেই হামলা,এই বাস্তবতা কোনো সমাজকে টিকিয়ে রাখতে পারে না। সময় এসেছে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। আমাদের বিলাসিতা কমাতে হবে, অযথা পকেট খরচ বাদ দিতে হবে, আত্মকেন্দ্রিকতা সরিয়ে রাখতে হবে। নিজেদের সমাজ, পরিবার ও সংস্কৃতি রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।আজকের সবচেয়ে জরুরি বার্তা হলো: “জাগতে হবে, নচেৎ মরতে হবে।” আমাদের সমাজের পাহারা আমাদেরই দিতে হবে। বাহিরের সাহায্যের আশায় বসে থাকলে শুধু প্রতারণাই বাড়বে। যারা ক্ষমতায় আসে তারা নিজেদের কর্মফল নিয়ে চলে যায়, কিন্তু আমাদের বিপর্যয় থেমে থাকে না। তাই প্রান্তিক মানুষের রক্ষাকবচ হতে হবে প্রান্তিক মানুষকেই।আমাদের প্রতিবাদই হতে হবে আমাদের শক্তি। আমাদের ঐক্যই হতে হবে আমাদের মিয়া সাব। সমাজের প্রতিটি অন্যায়, প্রতিটি শোষণ, প্রতিটি নিপীড়নের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে সম্মিলিত প্রতিরোধ। সময় এসেছে নিজেদের কথা নিজেরা বলার, নিজেদের অধিকার নিজেরাই আদায়ের। কারণ সমাজ বাঁচলে, সংস্কৃতি বাঁচবে; সংস্কৃতি বাঁচলে, প্রজন্ম বাঁচবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন