মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা ভৌগোলিকভাবে কাঠালিয়া ও মেঘনা নদী দ্বারা বেষ্টিত। এ কারণে এখানে অসংখ্য খালের সৃষ্টি হয়েছে, যা স্থানীয় গ্রামীণ জনপদের সঙ্গে গভীর জীবন-যাত্রার সম্পর্ক তৈরি করেছে। এসব খাল দীর্ঘদিন ধরে কৃষি, যোগাযোগ, মাছ ধরা এবং দৈনন্দিন জীবনধারার অন্যতম অংশ হয়ে আছে।কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নদীর স্রোতে ভেসে আসা কচুরিপানায় খালগুলোর স্বাভাবিক গতিপথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের নৌ-যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে, কৃষি জমির সেচ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং মাছ ধরা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খালের ওপর নির্ভরশীল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য এটি এখন এক বড় দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক নেতারা নানা পরিচয়ে নিজেদের প্রচারণা চালালেও কচুরিপানা সরানোর মতো বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয়রা মনে করেন, খালগুলোকে চিহ্নিত করে নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে এ দুর্ভোগ অনেকটাই লাঘব করা সম্ভব।
মেঘনা উপজেলার সচেতন মহল জানান, খালের পানি প্রবাহ সচল রাখার মাধ্যমে শুধু যোগাযোগ ও কৃষিই নয়, বরং স্থানীয় জীববৈচিত্র্যও রক্ষা করা যাবে। এ কারণে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে খালগুলোর কচুরিপানা পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন তারা।