September 3, 2025, 4:08 am

গজারিয়ায় অবৈধ চুনা কারখানা উচ্ছেদে শুধু অভিযান নয়, টেকসই প্রতিকার চাই

বিপ্লব সিকদার :

 

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অবৈধ চুনা কারখানার বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অভিযান নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া প্রশাসনের দৃঢ় মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো এতে কি সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে?

গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক অবৈধ কারখানা উচ্ছেদ হলেও নতুন করে আবার গড়ে উঠছে। এর মানে হলো কোথাও না কোথাও প্রশাসনিক গাফিলতি, দুর্বলতা কিংবা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া কাজ করছে। কেবল উচ্ছেদে সীমাবদ্ধ থাকলে এটি “বিড়াল তাড়ানোর মতো অভিযান” হয়েই থাকবে।অতএব এখন প্রয়োজন টেকসই প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা।প্রথমত, প্রকৃত কারখানা মালিকদের আইনের আওতায় আনতে হবে। জমির মালিক কিংবা ভাড়াটিয়াকে চিহ্নিত করে মামলা ও জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে।দ্বিতীয়ত, প্রশাসন ও তিতাসের নিয়মিত নজরদারি থাকতে হবে, যাতে নতুন করে কোনো অবৈধ কারখানা গড়ে না ওঠে।
তৃতীয়ত, যারা এসব কারখানাকে বছরের পর বছর চলতে দিয়েছে, তাদের দায়-দায়িত্বও খতিয়ে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ভেতরকার দুর্নীতি উন্মোচন করতে হবে।চতুর্থত, স্থানীয় জনগণকে সচেতন করতে হবে, কারণ অবৈধ চুনা কারখানা শুধু গ্যাস চুরি নয়, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।জনগণের প্রশ্ন খুবই স্বাভাবিক—এতদিন এসব অবৈধ কারখানা প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে কীভাবে চললো? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না বের করলে অভিযান যতই চলুক, সমস্যার শিকড় কাটা যাবে না।অতএব, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মনে রাখতে হবে শুধু উচ্ছেদ নয়, দায়ীদের আইনের মুখোমুখি করা এবং ভবিষ্যতের জন্য কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করলেই কেবল অবৈধ কারখানার দৌরাত্ম্য বন্ধ হবে। অন্যথায় অভিযান শুধু একদিনের খবর হয়ে থাকবে, স্থায়ী সমাধান হবেনা।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা