September 5, 2025, 10:46 am

টাঙ্গাইল-রাজবাড়ী-মেহেরপুরে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক

বিপ্লব সিকদার :

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট দেশের তিন জেলায় পৃথক অভিযানে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী ও মেহেরপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে ।দুদক সূত্রে জানা যায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী হয়রানি, সরকারি ঔষধ সরবরাহে গাফিলতি ও মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন ব্যবহারের অভিযোগে দুদক একটি দল আকস্মিক অভিযান চালায়।অভিযানকালে ছদ্মবেশে সেবা নিতে গিয়ে রোগী হয়রানি ও দায়িত্বে অবহেলার ঘটনা ধরা পড়ে। এসময় মেয়াদোত্তীর্ণ লিডোকেইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।


এছাড়া সরকারি কোয়ার্টারকে ডরমিটরি হিসেবে ব্যবহার ও আরএমও কর্তৃক ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪০ টাকার বিল অনিয়মিতভাবে উত্তোলনের প্রমাণ মেলে।অপর এক অভিযানে
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সরকারি কোষাগারের অর্থ আত্মসাৎ ও অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে।এসময় দলিল লেখকরা সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে অর্থ গ্রহণ করছে বলে সেবাগ্রহীতারা অভিযোগ করেন। প্রমাণ পাওয়ায় সাব-রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখকদের সতর্ক করা হয়।দুদক টিম স্ট্যাম্প শুল্ক, রেজিস্ট্রেশন ফি, ব্যাংক চালান কপি ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছে।এ ছাড়া মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় টিআর, কাবিখা ও কাবিটা কর্মসূচির আওতাভুক্ত বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক অভিযান চালায়।ভাটপাড়া ডিসি ইকো পার্ক এলাকায় দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুতর অসঙ্গতি ধরা পড়ে। স্থানীয়রা প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং অনিয়মের অভিযোগ তোলে।
এসময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম। অভিযানে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র ও প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা