ডেস্ক রিপোর্ট।।
পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট ড. খন্দকার মারুফ হোসেনে পি আর পদ্ধতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূল্যায়ন করেছেন। খন্দকার মারুফ হোসেন নিজস্ব আইডিতে লিখেছেন —–
কিছু রাজনৈতিক দল প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে নির্বাচন করার পক্ষে কর্মসূচি দিয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো- পিআর পদ্ধতি আসলে কী?
এই পদ্ধতিতে একজন ভোটার কোনো নির্দিষ্ট প্রার্থীকে নয়, বরং একটি দলকে ভোট দিতে হবে। ফলে ভোটার সরাসরি তার পছন্দের প্রার্থীকে সংসদ সদস্য হিসেবে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন না। দলের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ অনুযায়ী দলীয় হাইকমান্ড ইচ্ছামতো যাকে খুশি সংসদ সদস্য বানিয়ে দিতে পারবেন।
আমি মনে করি,এক্ষেত্রে একটি মৌলিক সমস্যা তৈরি হবে-
• জনগণ নিজের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে না।
• সংসদে তার পক্ষে কে কথা বলবে ? তা নির্ধারণ করবে দল, ভোটার নয়।
• যোগ্য, শিক্ষিত ও জনবান্ধব ব্যক্তিকে সরাসরি নির্বাচিত করার যে গণতান্ত্রিক অধিকার, সেটি পুরোপুরি লঙ্ঘিত হবে।
ফলে এই পদ্ধতি জনগণের ক্ষমতা দলীয় নেতৃত্বের হাতে কেন্দ্রীভূত করবে। এতে গণতন্ত্র শক্তিশালী হওয়ার বদলে দলীয় একনায়কতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদের ঝুঁকি তৈরি হবে।
বলা যায়, বাংলাদেশে পিআর চালু করা মানে ফ্যাসিবাদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার একটি নতুন ষড়যন্ত্র।
এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী এবং যোগ্য প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠানোর পথে এক বড় অন্তরায়।