রাজধানীর কাকরাইল আইডিইবি ভবনের সোস্যাল গার্ডেন (২০২), ৫ম তলায় আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো আয়োজনটি ছিল উৎসবমুখর, অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত ও তাৎপর্যমণ্ডিত।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার সাইফুল ইসলাম সজল নিউ ইয়র্ক থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ শামছুল আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক মোঃ মনির হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব রেজাউদ্দৌলা চৌধুরী, সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক যুবরাজ খান, চেয়ারম্যান—বাংলাদেশ শিল্পী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন; সামসুন নাহার লস্কর, অধ্যক্ষ—ডন বসকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল; এম. মুহিউদ্দীন খান ফারুকী, তাফসীরকারক—বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন এবং সম্পাদক-প্রকাশক জাতীয় দৈনিক ঐশী বাংলা; কবি অশক ধর, সম্পাদক-প্রকাশক দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা; এবং ক্রাইম প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও অপরাধমুক্ত বাংলাদেশ চাই সংগঠনের চেয়ারম্যান লায়ন ড. এ জেড এম মাইনুল ইসলাম পলাশ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা কামরুজ্জামান আসাদসহ সংস্থার বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা। সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এ এফ এম রাসেল পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান নাজরাতুন নাঈম, জনসংযোগ পরিচালক নাসির উদ্দিন মিলন, পরিচালক মোঃ শাহে আলম বেপারী, অর্থ পরিচালক খন্দকার তারিকুল ইসলাম, পরিচালক বায়েজিদ আহমেদ, পরিচালক সামসুদ্দিন, পরিচালক মোঃ ইয়ামিন ভূঁইয়া, পরিচালক মোঃ বেলাল হোসেন, পরিচালক নাজমা সুলতানা নীলা, পরিচালক লিটন মীর, পরিচালক নাসির উদ্দিন নীরব, ঢাকা জেলার সভাপতি ও পরিচালক উজ্জল খান, সহকারী পরিচালক কানিজ ইসলাম রুমা, লিগ্যাল এইড সেন্টার প্রধান এডভোকেট লুৎফুন্নেছা সীমা এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অসংখ্য কর্মী-সমর্থক।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের বিগত তিন বছরের কার্যক্রম, সেবা ও মানবাধিকার রক্ষায় অর্জিত সাফল্যের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। অতীত সময়ে বিশেষ অবদান রাখা বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিবর্গ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের কর্মীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
পরিশেষে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিল্পী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সৌজন্যে পরিবেশিত এই সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও আইনি সেবার আলো ছড়ানোর প্রত্যয়ে অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।