দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি মঙ্গলবারও চলছে। এর ফলে দ্বিতীয় দিনের মতো বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাসেম মোহাম্মদ শামছুদ্দীন জানিয়েছেন, দাবি বাস্তবায়নে অগ্রগতি না হওয়ায় পরীক্ষা বর্জনসহ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষকদের তিন প্রধান দাবি—
সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা,
উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তিতে জটিলতা দূর করা,
সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫,৫৬৯টি, যেখানে ৩ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষক কর্মরত। প্রধান শিক্ষকরা ইতোমধ্যে দশম গ্রেডে থাকলেও সহকারী শিক্ষকরা এখনও ১৩তম গ্রেডে রয়েছেন।
আগের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছিলেন। এরপর আশ্বাসে কর্মস্থলে ফিরে গেলেও, অগ্রগতি না হওয়ায় আবারও তারা কর্মবিরতিতে ফিরেছেন।