ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে ঘিরে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনি পরিবেশ সুশৃঙ্খল রাখতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচারণা সামগ্রী—পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেইট, তোরণ, ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা—অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
১০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে জারি করা নির্দেশনায় ইসি জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এ সকল প্রচারণা সামগ্রী সংশ্লিষ্ট সম্ভাব্য প্রার্থীকে নিজ খরচে অপসারণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে জরুরি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, নির্বাচনি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাঠপর্যায়ে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে হবে। একই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনারদেরও প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং ফোর্স সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পত্রটির অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবগণ, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারদের নিকট। বিশেষ নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে—প্রচার সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম যেন যথাযথভাবে, দ্রুত ও সমন্বিতভাবে সম্পন্ন হয়।
ইসির উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা জানান, ‘‘তফসিল ঘোষণার পরই পুরো দেশের নির্বাচনি এলাকা প্রচারণামুক্ত রাখা হবে। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়ন সহজ হবে এবং সব প্রার্থীই সমান সুযোগ পাবেন।’’
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠপর্যায়ে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি এখন ত্বরান্বিত করা হয়েছে। নির্বাচন-পূর্ব পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক রাখাই এখন ইসির প্রধান লক্ষ্য।