চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)-তে ভবন নির্মাণের প্ল্যান অনুমোদনের ক্ষেত্রে ঘুস দাবি ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেছে।
দুদক জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর একটি এনফোর্সমেন্ট টিম বুধবার (২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রি.) সিডিএ ভবনে সরেজমিনে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করা হয়।
দুদকের অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া মৌজার সৈয়দ শাহ রোডে অবস্থিত ১৩৭৫.৫৩ বর্গমিটার আয়তনের একটি প্লটে দুটি বেজমেন্টসহ ১৩ তলা ভবন নির্মাণের জন্য দাখিলকৃত নকশা সিডিএ’র ইমারত নির্মাণ কমিটি-১ এর ১৪৮তম সভায় যথানিয়মে অনুমোদিত হয়। তবে অনুমোদনের পর নথির নোটাংশের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ ফাঁকা রেখে পরবর্তী অনুচ্ছেদে ভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সংযোজন করা হয়। এর ফলে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি ভবন নির্মাণের অনুমতিপত্র ইস্যু করা হয়নি।অভিযোগকারী আবেদনকারী দুদক টিমকে জানান, অনুমোদনপ্রাপ্ত নকশা থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে অনুমতিপত্র আটকে রেখে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। দাবি করা ঘুস প্রদান না করায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা কৌশলে অনুমোদন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।অভিযানকালে দুদক টিম সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভূমিকা যাচাইয়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। ঘুস দাবি, নথি কারসাজি এবং প্রশাসনিক অনিয়মের বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে তদন্তের জন্য এসব নথি বিশ্লেষণ করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।
সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে। প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।