May 2, 2024, 6:02 pm
সর্বশেষ:
মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হেট্ট্রিক করতে ভোটারের দ্বারেদ্বারে শিরিন মেঘনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় জনাকীর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনে চলছে কার্যক্রম

বাবার কোলে শিশু তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করে চাচা’

১৬ অক্টোবর ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি-সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন হাসানকে তার বাবা, চাচা মিলে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশুটিকে নৃশংসভাবে হত্যার পর তাকে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয় তারা।

মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশের কাছে শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বাবা ও চাচা। হত্যার ঘটনায় সুনামগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তুহিনের চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার। আদালতে হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেন তারা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান আরও বলেন, রোববার রাত আড়াইটার দিকে বাবা আব্দুল বাছির তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান। পরে চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার তুহিনকে খুন করেন। পরে তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনা তুহিনের বাবার সহযোগিতায় হয়েছে। এ ঘটনায় তুহিনের বাবাও জড়িত। তার কোলে রেখে শিশু তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভোরে তুহিনের মা বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবু তাহের মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের নাম এখনও জানা যায়নি।

এর আগে সোমবার সকালে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সিআইডি ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বাবা আব্দুল বাছির ও তার তিন চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির, জমসেদ মিয়া, নাছির, জাকিরুল, চাচি খয়রুন বেগম ও চাচাতো বোন তানিয়াকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ খুনের কারণ ও খুনিদের পরিচয় নিশ্চিত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা