৯ এপ্রিল ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন, কমিটির সদস্যসচিব জেলসিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ ও পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামও বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।
৮ এপ্রিল, বুধবার দুপুরে ডিসি জসিম উদ্দিনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
এক কর্মকর্তা জানান, জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ডিসি জসিম উদ্দিন। তিনি জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটিরও সভাপতি। তিনি গত মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে বুধবার তিনি তার বাংলোয় রেস্টে ছিলেন। বাংলো থেকেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন দুপুরে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায়।
এদিকে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আজ থেকে কোয়ারেন্টিনে আছেন। এছাড়া জেলা করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম করোনা সন্দেহে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।
জানা গেছে, ডিসি, সিভিল সার্জন ও জেলা করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কেউ বুধবার অফিস করেননি। তবে তাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া গেলেও ডিসি জসিম উদ্দিনের ফোন রিসিভ করেন অতিরিক্ত ডিসি (রাজস্ব) সেলিম রেজা।
এদিকে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমও বুধবার অফিসে আসেননি। তার কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়টি পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয় এসপি জায়েদুল আলম বলেন, ‘আমি সুস্থ আছি। আমি কোয়ারেন্টিনে নেই। তবে ডিসি ও সিভিল সার্জন একটু অসুস্থ। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের করোনা সন্দেহ হওয়ায় যেহেতু তার সংস্পর্শে ছিলাম, তাই বাড়িতেই অফিস করছি। আর এই মুহূর্তে আমাদের সবার সামাজিক দূরত্ব মেনে পরিস্থিতি মোকাবিলা প্রয়োজন।থ
অতিরিক্ত ডিসি লা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা বলেন, ‘জেলা প্রশাসক বাড়িতে আছেন। জনসমাগম যাতে কম হয় এ কারণে অফিসে কম সময় দেয়া হচ্ছে। তবে আমাদের সব কাজ চলছে।
তিনি আরো বলেন, ‘তিনি (ডিসি) কাশিসহ অসুস্থ অনুভব করেছিলেন। এ কারণে ভাবির পরামর্শে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তিনি এখন সুস্থ আছেন। চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘আমি আসলে কোয়ারেন্টিনে আছি। বাসায় বসে অফিস করছি। টেলিফোনে নির্দেশ দিচ্ছি।থ
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আইসোলেশনে আছি। শরীর ভালো না, অসুস্থ। মুঠোফোনে যতটুকু পারছি চালিয়ে যাচ্ছি।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা জানান, কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় তাদের শরীরে জ্বর ও কাশি এগুলো দেখা দিলে তাদেরও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে এ পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ জেলাটিতে এ পর্যন্ত মোট ৪৩ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা আইইডিসিআরের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।