২৮ এপ্রিল ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
সৈয়দ আনোয়ার হোমনা :
হোমনায় মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক (শারীরিক দূরত্ব) বজায় রাখা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গোপনে চলে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, দুর্যোগ ও ত্রাণ তহবিল থেকে হতদরিদ্র অসহায় মানুষদের দরজা ত্রাণ পৌঁছে দেয়া। এবং নিত্যপণ্যের বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখা সহ করোনার প্রভাব মোকাবেলায় টানা ১৪ থেকে ১৬ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছেন,ইউএনও তাপ্তি চাকমা।
মহামারী করোনা ভাইরাস সচল পৃথিবীর চাকা অচল করে দিয়ে, তার শক্তিমত্তার থাবায় বন্দী করে নিয়েছে পুরো বিশ্বকে। প্রতিষেধক হীন এই ভাইরাসের একমাত্র প্রতিরোধ,সচেতন হওয়া নিজ গৃহে অবস্থান করা, জরুরী প্রয়োজনে বাইরে আসলেও সামাজিক (শারীরিক দূরত্ব) বজায় রাখা। এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে একা ঘরে থাকা নিশ্চিত করা। কুমিল্লার হোমনায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে দিনরাত মাঠে-ময়দানে কাজ করে যাচ্ছেন ইউএনও তাপ্তি চাকমা।
ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রথম দিন থেকেই তিনি বিদেশ ফেরত নাগরিকের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা। জনগণকে নিজ গৃহে থাকা ও অকারনে বাইরে না আসা, বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে আসলেও সামাজিক (শারীরিক দূরত্ব) বজায় রাখা। মাছ, তরকারি সহ মৌসুমী দেশীয় ফল নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত বিক্রির জন্য খোলা মাঠে অস্থায়ী বাজার সৃষ্টি করা। করোনার প্রভাবে কর্মহীন অসহায় দুস্থ মানুষের দরজায় সরকারি ত্রাণ তহবিলের ত্রাণ পৌঁছে দেয়া। এবং এই প্রভাবের সুযোগে অধিক মুনাফা লোভী অসাধু ব্যবসায়ী যেন নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিশীল করে তুলতে না পারে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিদিনই ঘুরছেন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। অসাধু ব্যবসায়ী ও সরকারি আইন অমান্য করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে জনসমাগম ঘটানোর দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কয়েক জনের সাজা প্রদান করেন তিনি।
প্রতিদিনই দৌড়াচ্ছেন এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ঘুরছেন পাড়া-মহল্লার অলিগলি মনিটরিং করছেন বাজার ব্যবস্থা।
করোনার প্রভাব এবার বৈশাখেরর পাকা বোরো ধানে। কৃষকের জমিতে পাকা সোনালি আমন ধান। কিন্তু ভাইরাসের প্রভাবে ঘর বন্দী দিনমজুর। কে কাটবে ধান! এই চিন্তায় কৃষকের কপালে যখন চিন্তার ভাঁজ,ঠিক তখন হোমনা উপজেলা স্কাউট সদস্যদের নেতৃত্ব দিয়ে নেমে পড়েন কৃষকের জমিতে। ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কাজটি করে ইতিমধ্যেই তিনি প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন উপজেলাজুড়ে।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।