November 24, 2024, 2:24 pm

আজ বিশ্ব মা দিবসঃ প্রতিটি দিন হোক সন্তানের জন্য “মা দিবস”

১০ মে ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

রাব্বি হাসান: পৃথিবীর এক পাশে মাকে রেখে অন্য পাশেও মা কে রাখি। মা হীন এলোমেলো হৃদয়ে তুমি ছাড়া আর কে জানে “মা”।
আজ ১০ই মে। আজ বিশ্ব মা দিবস। পৃথিবীর বিশুদ্ধতা শব্দটি মা। বিশুদ্ধতায় ছড়িয়ে যাক প্রতিটি সন্তানের হৃদয়।

পৃথিবীর সব দেশেই এই মা শব্দটিই কেবল সার্বজনীন। মা প্রথম কথা বলা শেখান বলেই মায়ের ভাষা হয় মাতৃভাষা। মা হচ্ছেন মমতা-নিরাপত্তা-অস্তিত্ব, নিশ্চয়তা ও আশ্রয়। মা সন্তানের অভিভাবক, পরিচালক, ফিলোসফার, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও বড় বন্ধু। মায়ের দেহে নিউট্রোপেট্রিক রাসায়নিক পদার্থ থাকায় মায়ের মনের মাঝে সন্তানের জন্য মমতা জন্ম নেয়, মায়ের ভালোবাসার ক্ষমতা বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।
ইসলামে মায়ের মর্যাদা অসীম। মাকে মহান আল্লাহ তা’য়ালা স্বীয় রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সালামের পরে সর্বোচ্চ আসন দিয়েছেন। সমাসীন করেছেন অভাবনীয় মর্যাদার আসনে। বলা হয়েছে, মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত।

বিশ্ব মা দিবস। মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার প্রতি বছরের মতো আজও এই দিবসটি কত নিঃশব্দে এসেছে। দিবসটি যেন জানান দিয়ে যায় আমাদের দায়িত্ব, অনুভূতি, সম্মান আর অবহেলা চিত্র গুলো। এই যে বিশ্বে এখন করোনায় তান্ডবে সকল কাজের নিয়মনীতি পাল্টে গেছে”কিন্তু কোন রুপ পরিবর্তন হয়েছে কি মায়ের ভালোবাসার?স্নেহের, কাজের? না কোন পরিবর্তন হয়নি। এমনকি করোনায় আক্রান্ত ছেলেকে আঁকড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে বৃদ্ধ মাকে।

“মা” একটি মাত্র শব্দ। এই শব্দটি ঘিরেই রয়েছে হাজারো মায়া, স্নেহ ভালোবাসা। মা হচ্ছে পৃথিবীর এক মাত্র সুদ বিহীন ব্যাংক যেখানে আমরা দুঃখ কষ্ট জমা রেখে ভালোবাসা ফেরত পাই। বিনিময়ে কিছুই দিতে হয় না। তারা শুরু চান বয়সের ভারে শক্ত সার্মথ্য জীবনে যখন একাকিত্ব চলে আসে তখন পাশে প্রিয় সন্তানকে পাবে।

মা বাবাকে বৃদ্ধ হতে দেখাই হয়তো একজন সন্তানের জন্য সবচেয়ে কষ্টকর বিষয় গুলোর একটি। মা শিক্ষিত হোক বা না হোক একজন সন্তানের জন্য পৃথিবীর প্রথম শিক্ষক হচ্ছে তার “মা” ই।

হাটি হাটি পা পা করে আমরা বড় হয়েছে মায়ের স্নেহ মমতা পেয়ে।কান্না পেলেই জড়িয়ে ধরেছে মা। কিন্তু যে জন্ম নিয়েই খুঁজে পায়নি মা কে? জন্ম হওয়ার পর থেকেই বড় হয়েছে রাস্তা। তার জন্য এই পৃথিবীর সকল “মা” তার “মা”। মা শব্দই হচ্ছে তার দূর্লব বস্তুর ন্যায়। তেমন তারও একটা মা হোক। কেউ যেন রাস্তায় ফেলে দিয়ে না যায়। আঁকড়ে থাকুন মা সন্তান।

পৃথিবীতে “পিতা মাতা” যেমন সবচেয়ে বেশি সম্মান আর দায়িত্বের ভাগবাটোয়ারা বেশি পাওয়ার কথা তেমনি অবহেলার শিকার ও হচ্ছে তারা। বৃদ্ধ মা কে সন্তান ফেলে যাচ্ছে রাস্তায়, ময়লার ভাগাড়ে। যেই মা থাকবে সন্তানের মনের মনিকোঠায় কিন্তু সে মা আজ বৃদ্ধাশ্রমে কান্নারত। একাকি দিন কাটাচ্ছে মানুষ গড়ার হাতিয়ার গুলো।

বৃদ্ধাশ্রম থেকে ফিরে আসুক বিশ্বের প্রতিটি “মা”। ফিরে পাক তার আপন ঠিকানা।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা