২৮ মে ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, শেখ মাজহারুল ইসলাম সোহান, প্রতিনিধি, :টাঙ্গাইল মির্জাপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে শাহনাজ আক্তার চৈতী (২০) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তবে মেয়ের মায়ের দাবি, যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা পশ্চিমপাড়া গ্রামে গৃহবধূর শ্বশুররবাড়ী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী-শ্বশুর পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় দুই বছর আগে উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা পশ্চিমপাড়া গ্রামের লাভলু মিয়ার ছেলে লাভু মিয়ার সাথে পার্শ্ববর্তী দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের শাহনাজ আক্তার চৈতীর ভালোবেসে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের বছরখানেক অতিবাহিত হলেও দাম্পত্য জীবনে তাদের প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো।
নিহত চৈতীর মা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবিতে তার মেয়ের ওপর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজন প্রায়ই শারিরীক নির্যাতন করতো। গত দুই সপ্তাহ আগেও যৌতুকের দাবিতে চৈতীকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারপিট করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ৫ হাজার টাকা দিয়ে পুনরায় তাকে শ্বশুরবাড়ী পাঠিয়ে দেন তার মা।
তিনি আরও জানান, এর আগেও তার মেয়ের অভিযোগ শুনে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। চৈতীর চার মাস বয়সী এক শিশু সন্তান রয়েছে।
মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সায়েদুর রহমান বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।