December 22, 2024, 5:37 pm
সর্বশেষ:
কুমিল্লা মেঘনার বৈদ্ধনাথপুরে ঢাকা বনাম চট্রগ্রাম বিভাগ কুস্তি খেলা ৯ জানুয়ারি মেঘনায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে বিএনপির দুই গ্রুপের আলাদা শ্রদ্ধাঞ্জলি  মেঘনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন মেঘনায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত প্রশাসনের প্রতিটি সেক্টরে আওয়ামীলীগের দুসর : অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া মেঘনার মাটি- মোশাররফ স্যারের ঘাটি শ্লোগানে মুখরিত মানিকার চর বাজার দৌলত হোসেন সরকারি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত গাছে ফেস্টুন লাগানোর দায়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা: ২৪ ঘন্টায় সকল ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ বিগত ১৫ বছরে ভারতের সাথে যত চুক্তি হয়েছে তা বাতিল করতে হবে : অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া মেঘনায় জনাকীর্ণ সেতু নির্মাণের আশায় দেড় যুগ!

করোনা : যা যা করবে ইসলামী সমাজ, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছাঁটাই বন্ধ ও বকেয়া বেতন পরিশোধের আহ্বান

৯ জুন ২০২০ বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

নিজস্ব প্রতিবেদক:
“ইসলামী সমাজ” এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহই হলেন মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্বজগতের একমাত্র সার্বভৌমত্বের মালিক, আইনদাত-বিধানদাতা ও নিরংকুশ শাসনকর্তা, অন্য কেউ নয়। কিন্তু বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের মানুষ দীর্ঘকাল পর্যন্ত তাদের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় “সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব” আল্লাহর অমান্য করে তাঁর সাথে কুফর করছে এবং কোন না কোন মানুষের মেনে তাঁরই সাথে করছে র্শিক। তিনি বলেন, আল্লাহর সাথে কুফর এবং শির্কে লিপ্ত হয়ে বিশ্বের মানুষ মানবতা ও নৈতিকতা বিরোধী অপরাধসহ বিভিন্নরকম পাপ কাজ করতে থাকার কারনেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদেরকে সতর্ক করার উদ্যেশ্যে করোনা ভাইরাস নামক বিশেষ আযাব-গজব পাঠিয়েছেন, এটা মুলতঃ বিশ্ববাসীর জন্য কুফর এবং শির্ক ত্যাগ করে ঈমান ও ইসলামের পথে ফিরে আসার জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা ।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় করোনা ভাইরাসের আক্রমণজনিত মহামারির ভয়াবহতার প্রেক্ষিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিভিন্নরকম আযাব-গজব থেকে বাঁচার উপায় বিষয়ে- অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছাঁটাই বন্ধের আহ্বান জানিয়ে সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, অবিলম্বে সকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করুন। তাদের ছাঁটাই বন্ধ করুন। তানাহলে ইসলামী সমাজ কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে। এসময় তিনি সরকারি ত্রান চুরির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই তার দেয়া আযাব-গজব উঠিয়ে না নিলে মানুষের পক্ষে এর মোকাবেলা বা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়! তাই আযাব-গজব থেকে বাঁচতে এর মোকাবেলা ও প্রতিরোধ করার চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে সকলকে দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে ঘোষণা করতে হবে- “সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব” একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয় এবং অঙ্গীকার করতে হবে- “দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা” একমাত্র আল্লাহর, অন্য কারো নয় এবং “শর্তহীন আনুগত্য- অনুসরণ ও অনুকরণ” একমাত্র হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর, অন্য কারো নয় এবং এসব বিষয়ের উপর দৃঢ় থেকে “দুর্নীতি-সন্ত্রাস, শোষন- জুলুম ও সকল প্রকার উগ্রতা মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে”- আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে আল্লাহরই সার্বভৌমত্বের অধীনে তাঁরই আইন-বিধানের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের নেতৃত্বের আনুগত্যে, নিজের সময় ও অর্থ কুরবানির মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং কুরআন ও সুন্নাহ্ অনুযায়ী যথাযথভাবে ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে। নিজের কৃত সকল অপরাধের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। সলাত ও কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর’ই বিশেষ রহমত ও সাহায্য লাভের জন্য কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে দোয়া এবং সর্বাবস্থায় মহান রবের সন্তুষ্টির জন্য ধৈর্য ধারন করতে হবে। এটাই কল্যাণ ও মুক্তির পথ। সকলকে তিনি কল্যাণ ও মুক্তির পথ গ্রহণের এবং “করোনা ভাইরাস” নামক আযাব-গজবের প্রেক্ষিতে সতর্কতা অবলম্বনে- প্রয়োজনীয় সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান এবং কর্মসূচী ঘোষণা করেন।

কর্মসূচী:
“সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে- ইসলামী সমাজের নেতা ও কর্মীগণ নিয়মিত ভাবে যেসব কর্মসূচী পালন করবেন তা হলো:
১. আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গজব থেকে রক্ষা পেয়ে কল্যাণ ও মুক্তি লাভের উপায়” বিষয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাক্তিগতভাবে এবং পথ সভার মাধ্যমে দেশবাসীকে সচেতন ও সতর্ক করা। এ লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে আহবানমূলক প্রচার ও লিফলেট বিলি করা।
২. কৃপনতা ও অমানবিকতা ত্যাগ করে একে অপরেকে সহযোগীতা করার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য দেশবাসীকে উদ্ধুদ্ধ করা এবং নিজেরা সাধ্যমত আন্তরিকভাবে এ কাজ করতে থাকা।
৩. সরকারসহ অন্যান্য সকল সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের জনকল্যাণমূলক কাজে নীতি ও আদর্শের উপর দৃঢ় থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা।
৪. দেশবাসীকে নিজেদের কৃত অপরাধের জন্য কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা এবং তাঁর বিশেষ রহমত ও সাহায্য লাভের প্রার্থনা করতে উদ্বুদ্ধ করা। নিজেরাও এ আমলটি গুরুত্বসহ করতে থাকা।
৫. কুরআন ও সুন্নাহর জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেদের ঈমান, চরিত্র ও আমলের উন্নতি সাধন করতে থাকা।
আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনই আমাদের একমাত্র সহায় ও সাহায্যকারী। তিনি আমাদের সকলকে উক্ত কর্মসূচীসহ কল্যাণমূলক সকল কাজ যথাযথভাবে করার তৌফিক দিন। আমীন!
এসময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিন, মুহাম্মাদ ইউসুফ আলী, সোলায়মান কবীর, এবং আমীর হোসাইন, আজমুল হক ও সেলিম মোল্লা প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা