May 7, 2024, 5:37 am
সর্বশেষ:
সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক

চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারণা।

১৮ জুলাই ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, এম ডি ওসমান,
গজারিয়া প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জ গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের ও মতলব দক্ষিণ থানার স্থানীয় প্রায় ১৬২ জনের কাছ থেকে ক্যান্টনমেন্ট আর্মি কোয়ার্টারে ক্লিনার ও বিভিন্ন পদে চাকুরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মোঃ বশির নামে এক ব্যক্তি। গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ বশির।

প্রতারণার শিকার কোহিনূর বেগম, রাজু সরকার,মোঃ সুমন,মোঃ নাদিম,মোঃ আকবর,মোঃ নুরেআলম,মোঃ লোকমান ও মতলব দক্ষিণ থানার সাইদুল সহ আরো অনেকেই অভিযোগ করেন মার্চ মাসের প্রথম দিকে ক্যান্টনমেন্ট আর্মি দের কোয়াটারে চাকুরি দেয়ার আশ্বাস দেয় মোঃ বশির।

তবে চাকরি পেতে হলে মেডিকেল ফিট হতে হবে মেডিকেল ফিট হলে চাকরি হবে ১০০%, মেডিকেল খরচ হিসেবে দিতে হবে জনপ্রতি ৮৩০০(আট হাজার তিনশোত)টাকা, আর মেডিকেল আনফিট হলে চাকরি হবে না কিন্তু মেডিকেল খরচ ৩০০০(তিন হাজার) টাকা কেটে বাকি টাকা ফেরত দেয়া হবে। বশিরের এমন কথার পরিপেক্ষিতে মেডিকেল করানোর জন্য রাজি হন সবাই। এভাবেই মেডিকেল করানো নামে প্রতিজনের কাছ থেকে নেয়া হয় আট হাজার তিনশত টাকা করে।

গজারিয়া থানা ও মতলব দক্ষিণ থানার স্থানীয় প্রায় ১৬২ জনের থেকে কয়েক ধাপে এই টাকা নেওয়া হয়। প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা বলেন আমরা মেডিকেল ফিট হলে ১৫ দিন থেকে এক মাসের মধ্যে চাকুরি হওয়ার কথা থাকলেও দু মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো চাকুরি হয় না, এমন অবস্থায় আমরা মোঃ বশির কে চাকুরির জন্য প্রেসার দিলে বশির বিভিন্ন তাল বাহানা করতে থাকে একপর্যায়ে মোঃ বশির আর গ্রামে আসেনা।

তারা আরো বলেন আমরা জানতে পারি মোঃ বশির ঢাকা মিরপুরে গা ঢাকা দিয়ে আছেন। প্রায় তিন-চার মাস অতিবাহিত হয় বশির গ্রামে আসে না।। উল্লেক্ষিত ঘটনার সম্পর্কে জানতে মোঃ বশিরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে, মোঃ বশির নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন এবং তিনি ঘটনাচক্রে ফেঁসে গিয়েছেন বলে জানান।

মোঃ বশির বলেন তিনি ঢাকা মিরপুরের একটি বাড়িতে কেয়ারটেকারের চাকুরি করেন,সেই বাড়ির গ্যারেজে রুবেল নামে একজন লোক তার ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ভাড়ায় রাখতেন, সেই সুবাদে রুবেল সাহেবের সাথে তার পরিচয়, মূলত রুবেল সাহেব মোঃ বশির কে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট আর্মিদের কোয়ার্টারে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায় বলে জানান মোঃ বশির।
আরো জানা যায় চাকুরি পাওয়ার জন্য মোঃ বশির ও বশিরের নিকটস্থ আত্মীয় কয়েকজন রুবেলের মাধ্যমে মেডিকেল করেন এবং রুবেল সাহেব কে জনপ্রতি ৮ হাজার ৩০০ টাকা করে দেন। এই ঘটনা মোঃ বশিরের গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই চাকুরী পেতে যোগাযোগ করেন মোঃ বশির এর সাথে, আর বশির তাদের নিয়ে জান রুবেল সাহেবের কাছে, আর এভাবেই প্রায় ১৬২ জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা।

মোঃ বশির বলেন শুধুমাত্র আমার মাধ্যমে রুবেল সাহেবের সাথে প্রতারণা শিকার ব্যক্তিদের পরিচয় হয় বলেই আমি ঘটনাচক্রে ফেঁসে গেছি। তিনি আরো জানান মিরপুরের মডেল থানায় রুবেল সাহেবের নামে সাধারণ ডায়রি(জিডি) করেছেন তিনি, এবং রুবেল সাহেবকে আইনের আওতায় এনে প্রতারণার শিকার সবার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন মোঃ বশির।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা