২১ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
প্রেমিকের আত্মহত্যার সময় পাশের রুমে তখন ব্লেড দিয়ে নিজের হাত কাটছিলেন প্রেমিকা। এ ঘটনায় প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকায়।
শনিবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাঠানটুলার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার বাসিন্দা প্রেমিকার।
এর আগে শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ওই তরুণীকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যার প্ররোচনায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম মিফতা উল ইসলাম (৩০) বলে জানা গেছে। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কদমতলি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।
তিনি পাঠানটুলার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ওই বাসায় চারদিন ধরে প্রেমিকাকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের চাচা মুহিবুর রহমানের অভিযোগ, কেউ তার ভাতিজাকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেছেন। পরে আবার তার মরদেহ নামিয়ে রাখেন।
তিনি আরো জানান, তরুণী আমাদেরকে জানিয়েছে, আমার ভাতিজার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে বিয়ে হয়েছিল কি-না সেটি আমরা বলতে পারব না।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা বলেন, ‘পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় প্রেমিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে দুজন দুই রুমে চলে যান। তরুণী এক রুমে বসে ব্লেড দিয়ে হাত কাটছিলেন। আর ছেলেটি একই সময় গলায় ফাঁস দেন’-বলেন ওসি সেলিম।
তিনি আরো বলেন ‘গ্রেপ্তার তরুণীর মায়ের সঙ্গে নিহত মিফতা উল ইসলামের বন্ধুত্ব ছিল। পরে তার মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম হয়। চারদিন আগে পাঠানটুলা নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ওই বাসায় মা-মেয়েকে নিয়ে ওঠেন নিহত মিফতা। দুদিন পর মা চলে গেলেও প্রেমিকা যাননি। তাই তিনি মিফতা উল ইসলামের সঙ্গে ওই বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।’
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।