July 8, 2025, 12:31 am
সর্বশেষ:
মেঘনা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ দলের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে : আক্তারুজ্জামান সরকার অভিযোগহীন অপরাধ: প্রশাসন জানে, তবুও নীরব কেন? জল ঘোলায় রিজিক মেলায় যারা, তারা বিপথগামী, উত্তরণের পথ এখনই জরুরি মেঘনায় পতিত সরকারের পরেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় সামাজিক বিপর্যয় বেড়েই চলছে আন্দোলনের আগুনে গড়া এক ছাত্রনেতা নাজমুল হাসান মেঘনায় নব্য মাদক সম্রাট : শেল্টারে মুখোশধারী নৌকার পক্ষে প্রচারণায় বিএনপি নেতার ভিডিও ভাইরাল : বিব্রত মেঘনা বিএনপি জুলাইয়ে গণতন্ত্রের ডাক, এখন কেন ‘মার্কা’ তান্ত্রিক পদ্ধতির খোঁজ? মেঘনায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভুয়া পরিচয়ে চাকরি? আইনের পথেই হোক সমাধান

বেপরোয়া গতির কারণে লঞ্চটি কাঁপছিলো

২৫ ডিসেম্বর ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

ঢাকার সদরঘাট থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় এমভি অভিযান-১০ বরগুনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। যাত্রার শুরু থেকেই এর গতি ছিল বেপরোয়া। ইঞ্জিনে ত্রুটি থাকায় চারজন টেকনিশিয়ান ত্রুটি মেরামতে কাজ করছিলেন। এ জন্য পুরো গতিতে দুটি ইঞ্জিন চালিয়ে ট্রায়াল দেওয়া হচ্ছিল। আর এতেই মূলত ইঞ্জিনের অতিরিক্ত তাপে আগুন ধরে যায়। লঞ্চে থেকে বেঁচে ফেরা বরগুনার কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ইতালিপ্রবাসী বরগুনা সদরের হেউলীবুনিয়া এলাকার সাদিক মৃধা অভিযান-১০ নামে ওই লঞ্চের তিনতলার কেবিনের যাত্রী ছিলেন। তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। লঞ্চটি অর্ধেকের বেশি পুড়ে যাওয়ার পর প্রচণ্ড উত্তাপ আর ধোঁয়ায় দম আটকে যাওয়ায় ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। এরপর বাইরে বের হয়ে দেখেন, চারদিকে আগুন। তিনি লঞ্চের পাশের ত্রিপলের রশি বেয়ে দ্রুত দোতলায় নামেন। সেখানে অনেক নারী, শিশুকে অজ্ঞান ও দগ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। একটি ফ্যামিলি কেবিনে দুই শিশু ও এক নারীর দগ্ধ নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সাদিক বলেন, কী করব ভেবে দিশেহারা হয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলাম। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন।

ওই লঞ্চের আরেক যাত্রী ফারুক হোসেন বলেন, লঞ্চটি ঢাকার ঘাট ছাড়ার পর তিনি ইঞ্জিনকক্ষের কাছে গিয়েছিলেন। তখন ইঞ্জিনের বেপরোয়া গতি তুলতে চারজন টেকনিশিয়ানকে দেখতে পান।

ফারুক ছাড়াও আরও কয়েকজন যাত্রী বলেন, লঞ্চটির ইঞ্জিনের ত্রুটি থাকায় চারজন ইঞ্জিন মেরামতকারী টেকনিশিয়ান লঞ্চটির ইঞ্জিনকক্ষে ছিলেন। তাঁরাই মূলত পুরো গতিতে লঞ্চটি চালাচ্ছিলেন। ইঞ্জিনে গ্যাস হওয়ায় বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই ইঞ্জিন প্রচণ্ড গরম হচ্ছিল। ইঞ্জিনের ত্রুটি খুঁজে পেতে পুরো গতিতে দুটি ইঞ্জিনই চালাচ্ছিলেন তাঁরা। বেপরোয়া গতির কারণে লঞ্চটি কাঁপছিল।

সাদিক বলেন, লঞ্চটিতে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। আর আগুন লাগার পরপরই মালিক ও স্টাফরা যাত্রীদের রেখে লঞ্চ থেকে সটকে পড়েন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা