• মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

দাউদকান্দি-মেঘনায় বিচারিক হস্তক্ষেপ, অনিয়মে শূন্য সহনশীলতা

বিপ্লব সিকদার / ৯৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কুমিল্লা–১ (দাউদকান্দি–মেঘনা) আসনে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম ঠেকাতে নির্বাচন কমিশন সরাসরি বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগের পথে হাঁটছে। অতীতের ভোটে অনিয়ম, প্রভাব বিস্তার ও সংঘাতের অভিযোগে আলোচিত এই আসনে এবার মাঠে নামছেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা, যাঁর হাতে থাকছে তাৎক্ষণিক বিচার ও শাস্তির ক্ষমতা।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দাউদকান্দি ও মেঘনা উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম অনুসন্ধান ও সংক্ষিপ্ত বিচার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনাব মুহাঃ মেহেদী হাসান, সিভিল জজ, মৌলভীবাজারকে। তিনি নির্বাচন কমিশনের অধীন নির্বাচনি অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটির সদস্য হিসেবে সরাসরি মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই বিচারিক কমিটি The Representation of the People Order, 1972-এর Article 91A অনুযায়ী নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, ভোটারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বেআইনি সভা-সমাবেশ, অর্থ ও পেশিশক্তির ব্যবহারসহ গুরুতর অভিযোগের অনুসন্ধান করবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার থাকবে।

স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচন এলেই দাউদকান্দি ও মেঘনায় প্রভাবশালী মহল ভোটের মাঠ দখলের চেষ্টা করে। পোস্টার–ব্যানার নিষেধাজ্ঞা অমান্য, রাতের আঁধারে মিছিল, কেন্দ্রভিত্তিক শক্তি প্রদর্শন এবং ভোটারদের ওপর চাপ প্রয়োগের মতো ঘটনা অতীতেও আলোচনায় এসেছে। এসব বাস্তবতায় এবার বিচারিক কমিটির সরাসরি মাঠপর্যায়ের উপস্থিতিকে ‘কঠোর বার্তা’ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কোনো রাজনৈতিক পরিচয়, প্রভাব বা চাপ বিবেচনায় নেওয়া হবে না। অনিয়মের প্রমাণ মিললেই সংক্ষিপ্ত বিচার শেষে তাৎক্ষণিক শাস্তি কার্যকর করা হবে। কমিশনের এই অবস্থান দাউদকান্দি–মেঘনায় নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘদিনের আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন