২ মে ২০১৯,
বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
সৈয়দ কামাল,ফেনী থেকেঃফেনীর ছাগলনাইয়া বর্ডার হাটে ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার হাটে দায়িত্ব পালনরত বিজিবি সদস্যদের সাথে স্থানীয় ক্রেতা দর্শনার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্রকরে ওই দিন বর্ডার হাটের দায়িত্বেথাকা বিজিবি’র সুবেদার শাহ আলম বাদী হয়ে,দুইজন নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনকে আসামী দিয়ে,১ মে ছাগলনাইয়া থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেন।বিজিবি’র লিখিত অভিযোগটি ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ এম এম মুর্শেদ পিপিএম মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন।যাহা ছাগলনাইয়া থানার মামলা নং-১,তারিখ-০১-০৫-২০১৯ ইং রুজু করা হয়।
বিজিবি’র লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী ছাগলনাইয়া থানায় রুজু হওয়া মামলায় ১।মোঃরাজু পাটোয়ারী,পিতাঃমোঃরাজিব পাটোয়ারী, গ্রামঃপূর্ব ছাগলনাইয়া,থানাঃছাগলনাইয়া ও ২।মোঃরনি আহাম্মদ,পিতাঃআবুল কাশেম (লাল),গ্রামঃবাঁশপাড়া,থানাঃছাগলনাইয়া।এই দুইজনের মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া রাজু পাটোয়ারীসহ পলাতক রনি’র পূর্ণ নাম,ঠিকানা উল্লেখ করে,উক্ত মামলায় বাকী ৪০/৫০ জনকে এফ,আই,আর ভুক্ত অজ্ঞাত নামা আসামী করা হয়েছে।
বিজিবি’র লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়,ঘটনার দিন বিকাল ৩ টা ৪৫ মিনিটের সময় মামলার বাদী বিজিবি’র সুবেদার শাহ আলম, হাবিলদার আলতাব হোসেন,হাবিলদার নাসির উদ্দিন,ল্যান্স নায়েক মোঃরবিউল ইসলাম, বিজিবি সদস্য ফরিদুল,আবেদীন,রিয়াল মাহমুদ,নাজমুল,কাস্টম সদস্য সিপাহী মোঃ আবদুল হালিম ও বর্ডার হাট সুপারভাইজার মোঃনয়ন মিয়া।বর্ডার হাটে দায়িত্ব পালনকালীন অভিযুক্ত আসামীগণ জোরপূর্বক সীমান্তে প্রবেশ করতে চাইলে,আমরা তাদেরকে বাদাদিলে তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে লক্ষকরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে, এই সময় আমি মামলার বাদী সহ বাকীরা তাদেরকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে,আমি সহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হই।এক পর্যায় আসামীগণ বর্ডার হাটের টিকেট কাউন্টারের আসবাব পত্র ভাঙ্গচুর করতে থাকলে আমরা আসামীদের ধরার চেষ্ঠা চালাই।এই সময় কতিপয় আসামীগণ পালিয়েযেতে সক্ষম হলেও আসামী রাজু পাটোয়ারীকে আমরা আটক করি এবং থানায় সোর্পদ করি।থানায় দায়েরকৃত মামলার অভিযোগে বিজিবি ঘটনার বিষয় লিখিতভাবে এইসব উল্লেখ করেন।
ঘটনার বিষয় সরেজমিন গিয়ে স্থানীয় জনগণের কাছে জানতে চাইলে,নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক এলাকাবাসী জানান,বিজিবি’র সাথে স্থানীয়দের ঘটেযাওয়া ঘটনাটি দীর্ঘদিনের জমেথাকা ক্ষোভের একটি বহিঃপ্রকাশ।বিষয়টি খোলাসাকরে জানানোর অনুরোধ করলে,স্থানীয়রা জানান,কি বলবো ভাই এই বর্ডার হাটে আসা ক্রেতা দর্শনার্থীরা দীর্ঘদিন যাবৎত বিজিবি’র হাতে নানাবাভে অত্যাচারের শিকার হচ্ছে।দূর দূরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা দর্শনার্থী এই হাটটি দেখতে ছুটে আসেন,এইসব দর্শনার্থীদের মধ্যে থাকেন অনেক মহিলা দর্শনার্থী।এইসব দর্শনার্থীরা বর্ডার হাটে প্রবেশের লক্ষে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ২০(বিশ) টাকা মূল্যের টিকেট সংগ্রহ করেন।আবার অনেকে বিজিবি’র আজ্ঞাবহ দালালদের কাছথেকে ব্লেকে ২০(বিশ) টাকার টিকেট সর্বচ্ছ ২০০(দুইশত) টাকা দিয়েও কিনে নিয়ে প্রবেশ করেন বর্ডার হাটে।এইসব অতিথি ক্রেতা দর্শনার্থীরা না জেনে হাটথেকে সর্বচ্ছ তিন থেকে পাঁছ হাজার টাকার বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী কিনে নেন।যদি ও একজন ক্রেতা বর্ডার হাটথেকে ১০০(একশত) মার্কিন ডলার সম মূল্যের পণ্য কিনার অনুমতি রয়েছে।তদাপি ওই সব ক্রেতা যখন এই তিন থেকে পাঁছ হাজার টাকার পণ্য কিনে বেরহতে যান তখনই বিজিবি কর্তৃক বাধার সম্মূখিন হন,বিজিবি সদস্যরা ওই সব ক্রেতা দর্শনার্থীদের কাছথেকে তাদের ক্রয়কৃত পণ্য সামগ্রির সিংহভাগ কেড়ে নেন।এই সময় কোন ক্রেতা যদি বিজিবি’র সাথে বর্ডার হাটথেকে কত টাকার পণ্য কিনাযাবে সে নিজেদের ভোক্তা অধীকার নিয়ে কথা বলতে যান,তখন তাকে বিজিবি কর্তৃক অকথ্য ভাষায় আচরণের শিকার হতে হয়।এই ছাড়া ও বিজিবি’র বিভিন্ন অনিয়মে অতিষ্ঠ হয়ে দীর্গদিন যাবৎত স্থানীয় ক্রেতা দর্শনার্থীদের মধ্যে যে,ক্ষোভ বিরাজ করছিল গত ৩০ এপ্রিল বিজিবি’র সাথে স্থানীয়দের ঘটেযাওয় ঘটনাটি তারি একটি বহিঃপ্রকাশ মাত্র।