সেইদিন মায়ের হাতে দর্শকের দেওয়া ১০ টাকার নোট টি দিয়ে নামকরা একজন ক্রিকেটার হতে দোয়া চাওয়া, সেই ক্ষুদে ক্রিকেটার সাইফ মায়ে দোয়ায় সত্যিই আজ দেশ জুড়ে নামকরা একজন অলরাউন্ডার ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
ক্রিকেটার সাইফের বর্তমান পারিবারিক অবস্থানঃ ক্রিকেটার সাইফ উদ্দিন ফেনী জেলার ফেনী সদর উপজেলাধীন,ফাজিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব শিবপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।পিতা পুলিশ কনষ্টেবল আবদুল খালেক ও মাতা জোহরা বেগমের সংসারে জন্ম নেওয়া তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে ফেনী জেলার গর্ব ক্রিকেটার সাইফ উদ্দিনের অবস্থান তৃতীয়।সাইফের দুই বোনের মধ্যে বড়বোন আসমা আক্তার ও ছোটবোন দিল আফরোজ উভয় বোনই বিবাহিত।তার বড়ভাই কফিল উদ্দিন,ছোটভাই আজাহার উদ্দিন তার মা জোহরা বেগম ও সে বর্তমানে ফেনী শহরের উকিল পাড়ায় পাঁচ তলা ভবনের একটি প্লাটে বসবাস করেন।পিতা আবদুল খালেক ২০০৮ সালে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারাযায়।বড় ও ছোট দুইভাই এখনো পড়াশোনা করছেন।
সাইফের পড়াশোনাঃসাইফের প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরুহয় নিজ গ্রামের বটতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে।প্রাথমিক শিক্ষা শেষে সাইফ ছাগলনাইয়া উপজেলাধীন করৈয়া বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ও পরে ফেনী শাহীন একাডেমী স্কুলে ভর্তি হয়।
ক্রিকেট খেলায় আগমনঃবাল্যকাল থেকেই খেলার জন্য পাগল ছিল সাইফ।গ্রামে থাকাকালীন কিশোর বয়সে সাইফ ক্রিকেট ও ফুটবল এই দুটি খেলাই খেলতো সমান তালে।সাইফের মা জোহরা বেগম বাসাভাড়া নিয়ে ফেনী শহরে উঠার পর ক্রিকেটকেই নিজের প্রিয় খেলা হিসেবে বেচেনেন সাইফ।২০০৫ সালে ফেনীর ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবে যোগদানের মাধ্যমেই ক্রিকেট খেলায় তার অভিষেক।মায়ের দোয়ায় নামকরা একজন ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি অর্জনে এর পর থেকে আর কোথাও থামতে হয়নি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় নবীন অলরাউন্ডার সাইফ উদ্দিন কে।২০০৯ সালে খেলেন অনুর্ধ ১৪ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট,এরপর অনুর্ধ ১৯ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট,এই টুর্নামেন্টে খেলাটাই ছিলো সাইফের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।তারপর যুব বিশ্বকাপে খেলা,বর্তমানে দেশের হয়ে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ খেলার অপেক্ষায় রয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলে অভিষেক হতে যাওয়া ফেনী জেলার কৃতি সন্তান নবীন এই অলরাউন্ডার সাইফ উদ্দিন।দেশবাসীর পাশাপাশি ফেনী জেলা বাসীর অধীক প্রত্যাশা, এবারের ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভালো খেলে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে আমাদের সাইফ।