• রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:১৯ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
মেঘনায় জুনিয়র বৃত্তি পরিক্ষায় ৯ শতাংশ নীরব অনুপস্থিতি: পরীক্ষার হলের বাইরে পড়ে রইল ভবিষ্যৎ আগামীকাল মেঘনায় আসছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মেঘনায় অবৈধ করাত কলের দখল, প্রশাসনের নীরবতা রহস্যজনক দুদক অধ্যাদেশ ২০২৫: সংস্কারের নামে কতটা বাস্তব পরিবর্তন? কুমিল্লায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সর্দার সাদ্দামসহ ৭ জন গ্রেফতার, অস্ত্র ও পিকআপ উদ্ধার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে জনসমুদ্র—কনকনে শীত ভেদ করে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষা সিডিএতে প্ল্যান অনুমোদনে ঘুস ও হয়রানির অভিযোগে দুদকের অভিযান একদিনে তিন জেলায় দুদকের অভিযান , ফাঁস অনিয়মের চিত্র ইগো: নীরব এক সামাজিক রোগ গ্রামে ডাক্তার পরিচয়ের আড়ালে বাড়ছে চিকিৎসা সংকট

কৃষকের পাঁকা ধানে আগুন জাতির জন্য চরম লজ্জা ও দুর্ভাগ্যজনক : ড.মোশাররফ

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৭৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২২ মে, ২০১৯

  • ২২ মে ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, স্টাফ রিপোর্টার :

    ‘উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কৃষক পাঁকা ধান-ক্ষেতে আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে, এটি জাতির জন্য চরম লজ্জা ও দুর্ভাগ্যজনক’- এই মন্তব্য করেছেন, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য, সাবেক মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
    তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার নেই বলে কৃষকের কপাল পুড়েছে। কৃষক ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচও পাচ্ছে না। তাই বিক্ষুব্দ কৃষক মনের দুঃখে পাঁকা ধান-ক্ষেত আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে। এটি জাতির জন্য চরম লজ্জা ও দুর্ভাগ্যজনক। সরকার চাল রফতানির চিন্তা করছে, অন্যদিকে আমদানীও করছে। চাল মজুদ যদি পর্যাপ্তই থাকে, তাহলে আবার আমদানী কেন ? অথচ কৃষককে ধানের ন্যায্য মূল্য দিতে সরকারের কোন মাথাব্যথা নেই। এতেকরে আগামীতে কৃষক আর ধান উৎপাদন করবে না । দেশ হবে চাল আমদানী নির্ভর। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। যা দেশের জন্য অশনি সংকেত।
    ড. মোশাররফ আজ বুধবার রাজধানীর শনির আখড়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইফতারপূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতাকালে এইসব কথা বলেন। ঢাকাস্থ হোমনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
    আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সরকারের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দল নেতা একেএম ফজলুল হক স্থানীয় কাউন্সিলর আলহাজ মো.জুম্মন মিয়া, মো.মহিউদ্দিন, মো. শফিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার সাইফুল ইসলাম উজ্জল প্রমুখ।
    বিএনপি’র এই নীতিনির্ধারক নেতা বলেন, দেশের প্রতিটি স্তরে অস্থিরতা চলছে। সরকারের কোথাও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, জবাবদিহীতা নেই,স্বচ্ছতা নেই ।নিয়ন্ত্রণ নেই বলে রূপপুরে প্রকল্পে কেনাকাটার নামে চলছে টাকা লুটপাট। মন্ত্রী-এমপিরা পাশ কাটিয়ে যে যার মতো বলছে, যা ইচ্ছা তা করছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা সরকারের নির্দেশ মানছে না। প্রশাসনে এক জগাখিচুড়ী অবস্থা বিরাজমান।
    ড.মোশাররফ হোসেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন, এটাই তাঁর বড় অপরাধ। তিনি এই সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। সরকারের হস্তক্ষেপে বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হচ্ছে না। কারান্তরীণ রেখে তাঁর জীবন বিপন্ন করছে।
    তিনি বলেন, গণতন্ত্র মুক্তির জন্য আগে গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে এই সরকারকে বাধ্য করা হবে। আর এই জন্য প্রস্তুতি নিতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান ড.মোশাররফ।

     


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন