এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, প্রেমের জের ধরেই এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রাসেল একটি মেয়েকে পছন্দ করতো। ওই মেয়ে নিহত রাশেদকে পছন্দ করতো। এ নিয়ে দ্বন্ধের এক পর্যায়ে তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (কুমিল্লার দক্ষিণে অতিঃ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত) আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কুমিল্লা ডিএসবির অতিঃ পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান।
বাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কুমিল্লার সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে রাশেদ সদর দক্ষিণ উপজেলার ফরিদ গ্রুপের ফরিদ নেটস্ নামীয় একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। গত রবিবার বিকালে ফ্যাক্টরি থেকে বের হয়ে সে আর বাসায় ফিরেনি। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার ফুলতলী এলাকা থেকে গলাকাটা অবস্থায় রাশেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর অভিযানে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মানিকপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রাসেল এবং একই উপজেলার বানীপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আরিফ।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।