October 8, 2024, 4:27 pm

প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষমতার অপব্যবহার কারীদের শালিস বানিজ্যে অসংগতি দূর হয় না।

১৬ মে ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম , এম এইচ বিপ্লব সিকদার : দিন যাবে দিন আসবে, এর ধারাবাহিকতায় পৃথীবীর সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশ টাও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে নিতে যে কোন সরকার জনগনকে ভোটের পূর্বে প্রার্থীরা জনগন কে ইশতেহারের বিশাল ফর্দ দেখতে হয়। প্রতিটি সরকার বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে ওয়াদা পুরুণ করার জন্য। প্রান্তিক পর্যায়েও অনেক প্রকল্প ধারাবাহিক ভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন করতে আসে কোটি কোটি টাকা ।যাক,আমি সে দিকে যাচ্ছিনা ।প্রান্তিকের জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির ফলে স্থানীয় প্রশাসন এর নিকট  আশ্রয় পশ্রয় আবাধে অফিস আদালতে চলা ফেরা করে তা নতুন কিছু নয় ।যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সে সরকারের দামাল ছেলেরা স্থানীয় প্রশাসনের অফিস গুলো কে  নিজের ঘর বাড়ি বানিয়ে ফেলে  এমন সখ্যতা কর্মকর্তা দের সাথে তৈরি হয় যা ভাতৃত্বের বন্ধন কে ছাড়িয়ে যায় । একটা সময় সাধারণ মানুষের নিকট দলবদ্ধ ভাবে জোরে শোরে পরোক্ষ ভাবে এমন বার্তা অশুভ শক্তি পাঠায় যা দেখে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ভীতিকর পরিস্থিতিতে পরে যায় ।জনগন সেবা,নিতে প্রশাসনের নিকট আসলে     কোন,না কোন গুণধর কে সামনে পেয়ে যায়,তখন উপকার করার,নাম,করে,সুপারিশ করতে এগিয়ে যায় সেই দপ্তরে, সেখানে সেবাদারীর বক্তব্য আর তাকে দিতে হয়না ।সে কথা গুণধর ব্যক্তিটি দিয়ে ফেলে এবং কর্তা,বাবু ও বলে দেয় তিনার সাথে যোগাযোগ রাখবেন খুব শিগগিরই কাজটা হয়ে যাবে। জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন সাংবাদিক, যারাই জনতার উন্নয়নের, অধিকারের কথা বলে    ,  বড় বড় বুলি ছাড়িয়ে শুধুই কথা মালার সংস্কৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আই ওয়াসের কবলে পরে কিছুই করার  থাকেনা। এক কথায় ক্ষমতাধরদের নিকট ধরনা ছাড়া তাদের উপায় নেই। এই সুযোগে যত সমস্যা আছে সব মিটিয়ে দেওয়া হবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখানে অঘোষিত  ক্ষমতাসীনদের সমন্বয় হয় যা গ্রাম থেকে শুরু করে জেলা,উপজেলা, পর্যন্ত । কূটকৌশল অবলম্বন করে অবলা সাধারণ জনগোষ্ঠী তাদের  কথার উপর ভর করে সন্তান পিতাকে ,ভাই ভাইকে, পিতা সন্তান কে হত্যা,থেকে শুরু করে জমি জমা সাংসারিক ঝামেলা সব কিছুতেই অসংগতি তৈরি হয়ে যায় ফলে সেখানে মীমাংসার নামকরণ করে সমন্বয় কমিটির মধ্যে একাধিক গ্রুপে ভাগ হয়ে যত সম্ভব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অবলা মানুষকে সম্মানি দিয়ে মিমাংসা হয়েছে মর্মে শেষ ফলাফল ধারায় কষ্টার্জিত অর্থ সম্পদ হারা,হয়ে যায় ।এ ছাড়া উপায় ও  নেই ।নিরুপায় হয়ে সব সহ্য করে অশুভ শক্তির ইঙ্গিতে জীবন পরিচালনা করতে থাকে সমাজ ।আর সেই সমাজে অসংগতি অঘোষিত প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নেয়। এভাবেই শোষণ নিপীড়ন সহ্য করে জীবন চালায় এখানেই শেষ  নয় যিনি বেশি ক্ষমতাসীন তার সাথে আত্মীয়,করা,মতবিনিময়  করা, আদান  প্রদান করা এমন  কোন  পদক্ষেপ নেই যা নিজেকে রক্ষা করার জন্য করেনা,।,ঠিক তখনি  প্রান্তিক পর্যায়ে ক্ষমতা,অর্জনের প্রতিযোগিতায় নেমে হোলি খেলায় মেতে উঠে কারন তারা দেখে ক্ষমতা থাকলে অর্থ উপার্জন থেকে শুরু করে জশ ,খ্যাতি কোনটাই কম না ।কেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কে এভাবেই পরিচালিত করা হচ্ছে। যত প্রকল্প বাস্তবায়িত করিনা,কেন  যদি প্রান্রিক জনগোষ্ঠীকে এই সব হীনচর্চা থেকে বের করে  নিয়ে না আসা যায় তা হলে কখনোই উন্ননের কাংখিত লক্ষে পৌঁছানো সম্ভব নয়। সুষম বন্টন, মৌলিক অধিকার, ও  জনসচেতনতার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত দের দৃষ্টি ভঙ্গি পজেটিভ না হয়  তা হলে এ সমাজ থেকে বিশৃঙ্খলা কখনো দূর হবেনা ,বিগ বাজেটের অপচয় আর কাগুজে কলমে আমরা উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারবো কিন্তু স্বস্থির নিঃশ্বাস নিয়ে জনতা সেই পাকানো জটলা এড়িয়ে আসতে পারবেও না। আর আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালো বাসি তা শুধু ছন্দে ই আনন্দ দেবে। দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবেনা, দেশ ও বদলাবেনা । জিম্মি প্রথা থেকে বের হতে হবে । সুন্দর পদক্ষেপ ও  প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে কুটচাল ও বানিজ্য থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে । লেখক ,সাংবাদিক ।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা