July 11, 2025, 2:50 am
সর্বশেষ:
তারেক রহমানের নির্দেশে ফুলগাজীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ মেঘনার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদ্রাসার ফলাফলের করুণ চিত্র: দলীয়করণ ও দলাদলির বলি শিক্ষার্থীরা মেঘনায় এসএসসির ফলাফলে  শীর্ষে সাহেরা লতিফ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি স্কুলের ফলাফলে হতাশা মেঘনায় মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাং: স্থানীয় গডফাদারদের মদদে অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কিশোররা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা মেঘনায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান এখন সময়ের দাবি গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা মেঘনা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ দলের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে : আক্তারুজ্জামান সরকার অভিযোগহীন অপরাধ: প্রশাসন জানে, তবুও নীরব কেন? জল ঘোলায় রিজিক মেলায় যারা, তারা বিপথগামী, উত্তরণের পথ এখনই জরুরি

জকিগঞ্জে ছেলে পরিচয়ে প্রতারণা করে শ্রীঘরে

২২ মে ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম ,   

জকিগঞ্জ সিলেট প্রতিনিধি:
‘ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়া সিলেটের সন্তান মা-বাবাকে খুঁজছে’ শিরোনামে গত বছরের ডিসেম্বরে সিলেটের স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নিজের হারিয়ে যাওয়া সন্তান ভেবে পত্রিকায় দেয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন একাধিক ব্যক্তি। মা-বাবার সন্ধ্যান প্রত্যাশী যুবক তাদেরকে বলে হারিয়ে যাবার সময় তার বয়স কম থাকায় মা, বাবা ও গ্রামের নাম ঠিকানা কিছুই মনে নেই তার। সন্ধ্যানকারীকে বাবা- মা ও আতœীয় সম্বোধন তাদের কাছে আশ্রয় নিয়ে নানাভাবে প্রতারণা করে আসছে মো.মনির (২৩)নামে এক ব্যক্তি। এমনিভাবে সিলেটের জকিগঞ্জে একটি প্রতারণার ঘটনায় নানা নাটকীয়তার পর ধরা খেয়ে এখন সে শ্রীঘরে। জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, জকিগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রী ইউনিয়নের লিয়াতকপুর গ্রামের প্রবাস ফেরত মোসÍাক আহমদ চৌধুরীর চতুর্থ শ্রেণিতে পড়–য়া সিলেটের পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র মাসিয়াত চৌধুরী ২০০৬ সালের ১৩ নভেম্বর নিখোঁজ হয়। বিষয়টি নিয়ে অপহরণ মামলা বিচারাধীন থাকলেও মাসিয়াত জীবিত না মৃত তা এখনো অজানা। এমতাবস্থায় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে মনিরকে নিজের সন্তান মনে করে যোগাযোগ করলে মনির ১৯ মে জকিগঞ্জ চলে আসে। হারিয়ে যাওয়া সন্তানকে ১৩ বছর পর ফেরত পাওয়ায় মোস্তাক চৌধুরী ও তার স্ত্রী খুবই খুশি হন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টি সহজভাবে নেননি। তাদের বক্তব্য চতুর্থ শ্রেণির ছেলে হারিয়ে গেলেও সে মা বাবার নাম ঠিকানা কিছুই মনে করতে পারবে না তা অস্বাভাবিক। সন্দেহের এক পর্যায়ে সোমবার মনিরকে নিয়ে জকিগঞ্জ থানায় আসেন মোস্তাক চৌধুরীও তার স্বজনরা। সবাই থানায় ঢুকলেও চতুর মনির থানায় পুলিশের সামনে যায়নি। দৌড়ে পালিয়ে যাবার সময় কুশিয়ারা নদীর তীর থেকে পুলিশ তাকে আটক কর। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় আড়াই বছর আগে একইভাবে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চট্রগ্রামের আনোয়ারা থানায় জুইদন্ডী ইউনিয়নের জুইদন্ডী শামমাঝিপাড়া গ্রামের প্রবাসী ইউসুফ আলীকে বাবা তার স্ত্রীকে মা ডেকে সেখানে অবস্থান করে সন্তান হিসেবে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে। জকিগঞ্জ থানার এসআই সৈয়দ ইমরোজ তারেক জানান, আনোয়ারার জুইদন্ডী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ইউসুফ আলীর ভাই মোবাইল ফোনে এই তথ্য জানিয়েছেন তাকে। তারেক জানান, প্রতারক মনির খুবই ধুর্ত। তার প্রকৃত ঠিকানা পুলিশ জানতে পারেনি। ইতিপূর্বে সে সিলেটের বিশ্বনাথ ও সুনামগঞ্জের ছাতকেও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে একাধিক পরিবারে অবস্থান করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা