২৯ মে ২০১৯ ,বিন্দুবাংলা টিভি. কম ,দেলোয়ার হোসেন :
কুমিল্লার হোমনায় যৌতুকের বলি নাজমা আক্তার(২৮) নামে এক গৃহবধুর লাশ তার স্বামীর বাড়ী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দূর্গাপুর গ্রাম থেকে এ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয় । নাজমা আক্তার উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মাইন উদ্দিনের স্ত্রী ও তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি গ্রামের হাজী আঃ সালামের মেয়ে ।
জানা যায়, ৬/৭ বছর আগে হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মাইন উদ্দিনের সাথে তিতাস উপজেলার কড়িকান্দি গ্রামের হাজী আঃ সালামের মেয়ে নাজমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। মাইন উদ্দিন এর আগে আরো তিনটি বিয়ে করেছেন । দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগমের সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর নাজমার সাথে তার বিয়ে হয় । দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারে একটি সন্তান রয়েছে । কয়েক মাস যাবৎ দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রতি তার আকর্ষন বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে মাইন উদ্দিন ও নাজমার মাঝে ঝগড়া ঝাটি চলে আসছে । এ নিয়ে প্রায়ই মাইন উদ্দিন নাজমাকে মারধর করতো । গত ২৮ মে মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা বেগম বাড়িতে আসলে এ নিয়ে এদেও মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় ।এক পর্যায়ে ম্ইান উদ্দিন ও সালমা মিলে নাজমা আক্তারকে পিটিয়ে আহত করে পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আত্মহত্যার করেছে বলে প্রচার করে । ঘটনা জানাজানি হলে মাইন উদ্দিন সহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায় । খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরন করেন ।
নিহতের বাবা হাজী আঃ সালাম জানান, বিয়ের সময় কোন যৌতুক দেয়ার কথাছিল না ।তবু মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে হাতের,কানের ও গলার গয়না বাবদ ২ লাখ টাকা দেয়া হয়ে ছিল ।পরবর্তীতে সে ঔষধের দোকান দেয়ার সময় ১ লাখ টাকা হাওলাত নিয়েছে । কিন্ত দ্বিতীয় স্ত্রীর পাল্লায় পওে আমার মেয়েকে নির্যাতন করা শুরু করে এরপর আমার নিকট আরো ১৬ লাখ টাকা যৌতুক দাবী কওে না দিলে মঙ্গলবার রাতে পরিকল্পিত ভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যার বলে প্রচার করে। সকালে এসে আমার মেয়ের শরীরে ক্ষত দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে যায় । আজ বুধবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন । মাইন উদ্দিন সহ ৬ জনকে আসামী কওে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছি । আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই ।
হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বী জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে লাশের শরীরে আঘাতের চিহৃ পাওয়াগেছে ।এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না । এটি হত্যাকান্ড কিনা তাই নিহতের লাশ উদ্ধার করে পোষ্ট মর্টেমে পাঠিয়েছি। মেয়ের পিতা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী মামলা করেছে ।শহিদ উল্লাহ নামের মাইন উদ্দিনের এক চাচাত ভাইকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে ।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।