November 22, 2024, 5:19 am

ছোট ফেনী নদীর উপর নির্মিত এই সাঁকোটি ৩ টি উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার জনগোষ্ঠীর নদী পারাপারের ভরসা।

২৯ মে,২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম ,
 
সৈয়দ কামাল,ফেনী থেকেঃফেনী সদর,দাগনভূঁঞা ও পাশ্ববর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম,জেলার ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মিত প্রায় ৩০০ ফুট লম্বা নড়বড়ে এই বাঁশের সাঁকোটি। এর ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের উত্তর কৈখালী ও সেকান্দরপুর, ফেনী সদর উপজেলা শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর আবুপুর এবং কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ বান্দেরজলা গ্রামে এই সাঁকোর অবস্থান।যাতায়াত ক্ষেত্রে বিকল্প কোন ব্যাবস্থা না থাকায়,এই এলাকা গুলির প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকিনিয়ে যাতায়াত করছে বাঁশের তৈরী এই সাঁকোটির উপর দিয়ে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়,এই সাঁকোর ওপর দিয়ে দাগনভূঁঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের উত্তর কৈখালী, দক্ষিণ কৈখালী, কৌশল্যা, নারায়ণপুর, সাদেকপুর, সেকান্দরপুর, ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর আবুপুর, দক্ষিণ আবুপুর, এলাহিগঞ্জ ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের বাকগ্রাম, দক্ষিণ বান্দেরজলা, উত্তর বান্দেরজলা, আলকরা, ধোপাখিলা, নারায়ণকুরি এবং গুণবতী ইউনিয়নের আকদিয়া, চাঁপালিয়াপাড়া, বৈধড়া, খাডরা ও গুণবতী গ্রামেসহ তিনটি উপজেলায় বসবাসরত উল্লেখিত গ্রাম গুলির জনগণের এখন পর্যন্ত যাতায়াত ক্ষেত্রে একমাত্র মাধ্যম এই সাঁকো।স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,সাঁকোর জায়গায় যদি সেতু নির্মাণ করা হতো তাহলে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকার মানুষও অল্প সময়ের মধ্যে ফেনী শহরের সাথে সহজ যোগাযোগ ক্ষেত্র হিসেবে এই স্থানটি বেচেনিত। উত্তর সেকান্দরপুর গ্রামের মোঃহাসান বলেন, প্রতিবছর বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে নড়বড়ে বাঁশের এই সাঁকোটি বন্যার বানে ভেসে যায়।বর্ষা শেষে আবার আশপাশের গ্রাম গুলির লোকজন নিজেদের মধ্যে নিজেরা চাঁদা তোলাতুলি করে সাঁকোটি নির্মাণে বাদ্যহন। এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ। ফেনী কলেজের ছাত্র মাঈনুদ্দিন ভূঁঞা বলেন,অনেকে ভয়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল না করে,সময় ব্যায় হলেও নৌকায় পার হচ্ছেন নদী।নৌকার মাঝি রুস্তম আলী (৭০) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভোটের সময় নেতারা ভোট চাইতে এসে বড় গলায় বলেন, এবার সেতু হবেই। কিন্তু ভোটের পর তাঁদের কোনো খবর থাকে না। সিন্দুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃনুর নবী বলেন, ওই সাঁকোর জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবর বহুবার আবেদন করেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তিনি আরো জানান, গত বর্ষায় সাঁকো থেকে পড়ে সেকান্দরপুর ও উত্তর কৈখালী গ্রামের দুটি শিশু মারা গেছে।দাগনভূঁঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবীর রতন জানান, তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে শুনেছেন।আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বিষয় জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে,স্থানটিতে সেতু নির্মাণের ব্যাবস্থা করবো । ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, অত বড় সেতু নির্মাণের জন্য বাজেট জেলা পরিষদের থাকে না।তারপরও আমি বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে,জনবহুল এই সমস্যটি সমাধানে চেষ্ঠা চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা