• শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
কুমিল্লায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সর্দার সাদ্দামসহ ৭ জন গ্রেফতার, অস্ত্র ও পিকআপ উদ্ধার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে জনসমুদ্র—কনকনে শীত ভেদ করে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষা সিডিএতে প্ল্যান অনুমোদনে ঘুস ও হয়রানির অভিযোগে দুদকের অভিযান একদিনে তিন জেলায় দুদকের অভিযান , ফাঁস অনিয়মের চিত্র ইগো: নীরব এক সামাজিক রোগ গ্রামে ডাক্তার পরিচয়ের আড়ালে বাড়ছে চিকিৎসা সংকট মেঘনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়ে গণ অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল সুদানে ড্রোন হামলায় শহীদ শান্তিরক্ষীদের জানাজা ভ্যাট–ট্যাক্স ফাঁকি ও প্রান্তিক পর্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রফেসর পরিচয়ের অপব্যবহার: নীরব অপরাধ কেন?

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আর নেই

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৭১ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৯

রোববার, ১৪ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম

ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (জাপা) এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।১৪ জুলাই, রবিবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে

রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান।

এরশাদের জানাজা ও দাফনের বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, লাশ বারিধারার বাস ভবনে প্রথমে নেওয়া হবে, পরে নেওয়া হবে বনানীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে।

রক্তে হিমোগ্লোবিন ও লিভারে দীর্ঘদিনের সমস্যার পাশাপাশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৭ জুন সিএমএইচ-এ ভর্তি হন এরশাদ। এরপর গত ৪ জুলাই বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ছবি: সংগৃহীত

১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তারিখে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রংপুর জেলায় দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। এরশাদ বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান ও রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার দেশ পরিচালনাকে অনেকেই সামরিক একনায়তন্ত্রের সাথে তুলনা করেন। তিনি জাতীয় পার্টি নামক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তীতে বেশ কিছু উপদলে বিভক্ত হয়। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন হতে তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

১৯৮৩ সালে নির্বাচিত সরকারের অধীনে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে দেশ শাসন করেন। দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের উদ্দেশে ঘোষণা করে তিনি ১৯৮৬ সালে সংসদীয় সাধারণ নির্বাচন দেন। এই নির্বাচনে তিনি স্বপ্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টির ভোটপ্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করেন এবং পরে পাঁছ বছরের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে গণবিক্ষোভের চাপে এবং সেনাবাহিনীর সমর্থনের অভাবে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন