July 13, 2025, 7:09 am
সর্বশেষ:
দেবিদ্ধার লক্ষিপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নতুন কমিটি তারেক রহমানের নির্দেশে ফুলগাজীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ মেঘনার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদ্রাসার ফলাফলের করুণ চিত্র: দলীয়করণ ও দলাদলির বলি শিক্ষার্থীরা মেঘনায় এসএসসির ফলাফলে  শীর্ষে সাহেরা লতিফ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি স্কুলের ফলাফলে হতাশা মেঘনায় মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাং: স্থানীয় গডফাদারদের মদদে অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কিশোররা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা মেঘনায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান এখন সময়ের দাবি গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা মেঘনা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ দলের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে : আক্তারুজ্জামান সরকার অভিযোগহীন অপরাধ: প্রশাসন জানে, তবুও নীরব কেন?

নাসিরনগরে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে দলিল লেখক!

১৫ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর, (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ঃ সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী দলিল লেখার সনদ পেতে
কমপক্ষে এস,এস,সি বা সমমানের পরীক্ষা পাশের সনদ থাকতে হবে। কিন্তু তার পরিবর্তে মাত্র ৬ষ্ট শ্রেণিতে পড়ে পাশ্ববতর্ী গ্রামের নামে সাথে মিল থাকা লোকের সার্টিফিকেটের ফটোকপিতে ফ্লইড মেরে পিতার নাম পরিবর্তন করে নাসিরনগর সাব রেজিষ্ট্রারী অফিসের সনদ নং ৩৭ সংগ্রহ করে ব্যাপক অনিয়ম ও দুনর্ীতির মাধ্যমে আজ কোটি টাকার মালিক বনে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
থানার দালাল থেকে দলিল লেখক, রাস্তার ভিখারী থেকে কোটিপতি–এমন মন্তব করেছেন কর্মকান্ত দাস ও অফিস সহকারী ফুল কিশোর সরকার সহ বিভিন্ন দলিল লেখকরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে পিতা-পুত্রের এমন লাগামহীন অনিয়ম দুনর্ীতির খবর পাওয়া গেছে। অবশেষে পিতা মোঃ শফিকুল ইসলামের জাল সনদ নং ৩৭ দুনর্ীতির দায়ে কর্তৃপক্ষ বাতিল করেছে। অপরদিকে পুত্র সাব্বিরুল ইসলামের লাইসেন্স নং-৮১ কে নিদিষ্ট কালের জন্য বহিস্কার করেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ১৯৯৪ সালে রতনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করে চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করে। পরে প্রতিবেশী মনকুটা গ্রামের আব্বাস আলীর পুত্র শফিকুল ইসলামের ১৯৮৮ সালে পাশ করা দাখিল সার্টিফিকেট জাল করে নাসিরনগর সাব রেজিষ্ট্রী অর্ফিস থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৭ নং দলিল লেখক সনদ দিয়ে বর্তমানে সে প্রচুর সম্পদের মালিক বলে গ্রামের হাজী ইউসুফ আলীর ছেলে অহিদুর রহমানের মহা পরিদর্শক নিবন্ধন বরাবর দায়ের করা লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে।

পরবতর্ীতে তদন্তে লাইসেন্স জাল প্রমাণিত হলে তা বাতিল করে দেয় কতর্ৃপক্ষ। পিতার লাইসেন্স বাতিলের পর চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়–য়া ছাত্র তার ছেলে সাব্বিরুল ইসলামকে দিয়ে আবারও ছেলের নামে ৮১ নং সনদ তৈরী করে। ৭ জুলাই ২০১৯ রোজ রবিবার সাব্বিরুল ইসলাম জালিয়াতির মাধ্যমে একটি দলিল সম্পাদন করতে গেলে উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রারীর হাতে ধরা পড়ে। সাব রেজিষ্ট্রার সাথে সাথে তাকে লিখিতভাবে অনিদিষ্ট কালের জন্য বহিস্কার করে দেয়। পিতা-পুত্রের এমন দুনর্ীতির কারণে সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও দলিল লেখকদের মাঝে বিরাট ক্ষোভ আর হতাশা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার মোঃ শাহিন আলমের সাথে .মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি সাব্বিরুলে বহিস্কারের ঘটনাটি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান সাব্বিরুল ছাড়াও একই দিনে দলিল লেখক আব্দুল মালেককেও বহিস্কার করা হয়েছে। নাসিরনগর দলিল লেখক সমিতির সকল সদস্য ও ভূক্তভোগীরা, পিতার মত পুত্রের সনদ বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা