December 30, 2024, 11:40 pm
সর্বশেষ:

৬ মাস পর খুনের রহস্য উদঘাটন : নাসিরনগরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে খুন করে বাবা

২১ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

মো:আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,(ব্রাক্ষণবাড়িয়া):জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের পাঁচ বছরের মেযেকে ছুরি দিয়ে খুন করে বাবা হারুন। মেয়েটিকে হত্যায় সহযোগিতা করে হারুনের মা ছালেহা, ভাই আজিজুল হক, ভাইয়ের স্ত্রী বেদেনা খাতুন। ঘটনার ৬ মাস পর পুলিশ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারলেও পিতা হারুনকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে আলাপকালে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো:সাজেদুর রহমান এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমেনার লাশ দেখে ,তার স্বজনদের সাথে কথা বলে প্রথমেই আমার সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে আসল কাহিনী বেরিয়ে আসে। মামলার বাদী হারুনকে গ্রেফতারের অনুমতি দিতে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে হারুনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। বাদীর দায়ের করা মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

এক অনুসন্ধানে জানা গেছে,এলাকায় মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয় নিয়ে ল দীর্ঘদিন যাবৎদু পক্ষের মাঝে দ্বন্ধ চলছিল। তা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষও হয়েছে। ২০১৮ সারের ৩১ মে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আরজান মিয়ার সমর্থক তোফাজ্জল মিয়া মারা যায়। পরে হার“ন মিয়াসহ তার সমর্থদের বসতঘরে লুটপাট ও ভাংচুর চালানো হয়। এর পর থেকে হারুন মিয়া আরজানের লোকজনকে ফাঁসাতে নানা ফন্দিআটতে থাকে। পরে আরজানমরন নেশা ইয়াবা নিয়ে আসার পথে কুমিল­ার বুড়িচং থানা পুলিশের হাতে আটক হয়। এই ঘটনায় হারুনকে দায়ী করে আরজানের পরিবার। ওই ঘটনার বেশকিছুদিন পর গত ২১ জানুয়ারি হারুন তার ৫বছরের শিশু কন্যা আমেনা কে ছুরি দিয়ে হত্যা করে আরজানসহ ২৫ জনের নামে নাসিরনগর থানায় একটি খুনের মামলা করে।

থানা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, হত্যাকান্ডটি চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯ ঘটিকায় সংঘটিত হয়। কিন্তু হারুন তার মামলায় ঘটনার সময় উল্লেখ করেন ২০ জানুয়ারি সকাল ১০ঘটিকায়, আসামিরা বল­ম দিয়ে আমেনাকে হত্যা করে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে দেখা গেছে শিশু আমেনাকে খুন করা হয়েছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে। মামলার তিন আসামির মোবাইল ফোনের কললিস্ট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওই দিন তারা অন্যত্র ছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মইনুল ইসলাম খান বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা করে হারুন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা