May 1, 2024, 2:14 am
সর্বশেষ:
মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হেট্ট্রিক করতে ভোটারের দ্বারেদ্বারে শিরিন মেঘনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় জনাকীর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনে চলছে কার্যক্রম

বরিস জনসন : সাংবাদিক থেকে প্রধানমন্ত্রী

  • ২৫ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসন। সাংবাদিক থেকে রাজনীতিতে আসা এই রাষ্ট্রনেতার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে হলেও তার শেকড় তুর্কি। নকলের দায়ে সাংবাদিকতার চাকরি হারিয়েছিলেন একবার।১৯৬৪ সালে মধ্যবিত্ত ব্রিটিশ এক দম্পতির সংসারে নিউ ইয়র্কে জন্ম জনসনের। কর্মসূত্রে তার মা-বাবা তখন নিউ ইয়র্কে থাকতেন। জন্মসূত্রে তাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও আছে জনসনের। তবে তার পূর্ব পুরুষরা ছিলেন তুরস্কের মুসলিম। তার দাদার বাবা আলী কামেল ছিলেন একজন তুর্কি সাংবাদিক। পরে তিনিও রাজনীতিতে এসেছিলেন। পূর্ব পুরুষের দেখানো পথেই হয়তো লেখাপড়া শেষ করে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতাকে বেছে নেন বরিস জনসন।তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু লন্ডনের বিখ্যাত টাইমস পত্রিকার মাধ্যমে। সেখানে শিক্ষানবীস সাংবাদিক হিসেবে ভালোই চলছিল তার ক্যারিয়ার; কিন্তু কিছুদিন পরেই একটি রিপোর্টে মিথ্যা তথ্য দেয়ার কারণে চাকরি চলে যায় জনসনের। এরপর আরেক বিখ্যাত পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফে চাকরি নেন জনসন। এখানে তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যাপক সুনমা কুড়ান। তার লেখা জনপ্রিয় হয় ব্রিটিশদের মধ্যে।১৯৮৯ সালে জনসনকে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে বুরোতে পাঠায় টেলিগ্রাফ। সেখানে তিনি কাজ করেন ছয় বছর। এ সময় তিনি দারুণ খ্যাতি অর্জন করেন। এরপর তাকে টেলিগ্রাফের লন্ডন অফিসে রাজনৈতিক ভাষ্যকারের দায়িত্ব দেয়া হয়। সাংবাদিকতা সূত্রেই কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতাদের সাথে জনসনের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তিনি নাম লেখান রাজনীতিতে। ১৯৯৭ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।থ৯৯ সালে টেলিগ্রাফের সহযোগী পত্রিকা দ্য স্পেকট্যাটর এর সম্পাদক হন। তার হাতে পত্রিকাটি আবার জনপ্রিয়তা ফিরে পায়। কিন্তু সাংবাদিকতা ছেড়ে রাজনীতিতে নিয়মিত হয়ে যান জনসন। ২০০১ সালের নির্বচনে আবার প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন লন্ডনের মেয়র। দুই মেয়াদে মেয়রের দায়িত্ব পালন করার পর থেরেসা মেথর সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২ বছর দায়িত্ব পালন করার পর ব্রেক্সিট নিয়ে বিরোধের জের ধরে পদত্যাগ করে মন্ত্রীসভা থেকে।জুন মাসে ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পদত্যাগের ঘোষণা দিলে দলীয় প্রধান হওয়ার জন্য প্রার্থী হন এবং জেরোমি হান্টকে পরাজিত করে বড় ব্যবধানে জয় লাভ করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অবশেষে উঠলেন সফলতার চূড়ান্ত ধাপে। হলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা