October 8, 2024, 3:03 pm

শেরপুরে অন্তঃসত্ত্বাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় এখনও পলাতক ৩ আসামি :৩ জনের রিমাণ্ড মঞ্জুর

২৯ জুলাই ২০১৯ বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

হারুনুর রশিদ, শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নকলায় ডলিজ খানম (২২) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর মামলায় হাজতি ৩ আসামির ২ দিনের পুলিশ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার দুপুরে তদন্ত কর্মকর্তার ৫ দিনের আবেদনের বিষয়ে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ সুলতানা ওই রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। রিমাণ্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হচ্ছেন নির্যাতিতা গৃহবধূর ভাসুর আবু সালেহ (৫২), সলিমুল্লাহ (৪৪) ও জা লাখী আক্তার (৩৪)। একই সাথে আদালত হাজতি অপর ২ আসামি তোফাজ্জল হোসেন (৫৫) ও তার ছেলে ইসমাইল হোসেনকে (২০) ২ দিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। অন্যদিকে ওই চাঞ্চচল্যকর মামলায় এখনও পলাতক রয়েছেন এক পৌর কাউন্সিলরসহ ৩ আসামি।
কোর্ট ইন্সপেক্টর খন্দকার শহীদুল হক ওই রিমাণ্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এখন সহসাই রিমাণ্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিতে পারবেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, আসামিদেরকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন ও আলামত উদ্ধারসহ পলাতক থাকা এজাহারনামীয় ২ আসামিসহ অজ্ঞাতনামাদের অবস্থান নিশ্চিত ও তাদের গ্রেফতারে সহায়ক হতে পারে।
জানা যায়, ওই চাঞ্চল্যকর মামলায় এজাহারনামীয় ৯ আসামির মধ্যে মামলার প্রথম দিকেই নাসিমা আক্তার এক নারী আসামি গ্রেফতার হয়। এরপর উচ্চ আদালত থেকে ৬ আসামি অন্তবর্তী জামিন নিয়ে মেয়াদ শেষে ৫ জন নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে হাজতবাসে গেলেও হাজির হওয়া থেকে বিরত থাকেন অপর আসামি সেনাসদস্য নেছার উদ্দিন। এছাড়া মামলার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন পৌর কাউন্সিলর রূপালী বেগম ও তার স্বামী আমিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে নকলা উপজেলার কায়দা গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই অন্ত:স্বত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতন এবং নির্যাতনে গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্টের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ৩ জুন আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী। এরপর নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের দ্রুত পদক্ষেপে গত ১১ জুন এক সেনা সদস্যসহ ওই গৃহবধূর ৩ ভাসুর ও জাসহ ৯ জনকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয়।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা