July 14, 2025, 9:37 pm
সর্বশেষ:
জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের সভাপতি শাহীন রেজা, সাধারণ সম্পাদক শহিদ আজাদ উপহারটা তার জন্য ছিল না দেবিদ্ধার লক্ষিপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নতুন কমিটি তারেক রহমানের নির্দেশে ফুলগাজীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ মেঘনার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদ্রাসার ফলাফলের করুণ চিত্র: দলীয়করণ ও দলাদলির বলি শিক্ষার্থীরা মেঘনায় এসএসসির ফলাফলে  শীর্ষে সাহেরা লতিফ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি স্কুলের ফলাফলে হতাশা মেঘনায় মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাং: স্থানীয় গডফাদারদের মদদে অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কিশোররা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা মেঘনায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান এখন সময়ের দাবি গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা

কথা বলতে পারে এমন রোবট তৈরি করলেন কুবির শিক্ষার্থীরা

৩ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম ,

ডেস্ক নিউজ::  কথা বলা রোবট তৈরি করলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। দুই মাসের কম সময়ে তৈরি রোবটটির নাম রাখা হয়েছে ‘সিনা’। মাত্র ৩৭ হাজার টাকায় রোবটটি তৈরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছে দলটি। দু’জন সহপাঠীর সহযোগিতায় রোবটটি তৈরি করেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সনজিত মণ্ডল। রোবট সিনা মানুষের মতো কথা বলতে পারে। চলতে পারে সামনে-পেছনে সবদিকে।

১০৫৩ লাইনের আর্ডুইনো কোড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে রোবট ‘সিনা’। মোবাইল সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রোবটটি তৈরিতে সনজিতকে সহযোগিতা করেছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাঈয়েদুর রহমান ও আইসিটি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র জুয়েল নাথ। তাদের বক্তব্য, আমাদের স্বপ্ন ছিল রোবট তৈরি করার। সায়েন্স ক্লাবের মাধ্যমে সুযোগটি পাই। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) আমাদের অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে। সামনে সময় ও অর্থ বাড়িয়ে দেওয়া হলে আরও ভালো রোবট তৈরি করতে পারব।

জুয়েল নাথ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন টানা কাজ করেছি। প্রায়ই সারারাত কাজ করতে গিয়ে ছাদেই ঘুমিয়ে যেতাম। কড়া রোদে ঘুম ভাঙলে আবার রুমে গিয়ে রোবট তৈরির কাজে লেগে যেতাম। টিমটির দলনেতা সনজিত মণ্ডলের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামারী গ্রামে। পরিবার থাকে ঢাকায়। বাবা রণজিত মণ্ডল ছোট চাকরি করেন। মা লক্ষ্মী রানী কাজ করেন বুটিকসের। দুই ভাই এক বোনের পরিবার তার। ছোটবেলা থেকেই রোবট তৈরির স্বপ্ন ছিল সনজিতের। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে টিউশনির টাকা দিয়ে চলতে হতো তাকে। নিজের খরচ চালিয়ে সংসারেও দিতেন কিছু টাকা। টিউশনির টাকা বাঁচিয়ে একসময় ছোট রোবট তৈরি করেন। তা নিয়ে বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশও নেন। সেখান থেকে শুরু স্বপ্ন বোনা। কুমিল্লায় ভাড়া বাসায় নিজেই ল্যাব তৈরি করেন। সনজিত বলেন, সারাদিন ক্লাস আর সন্ধ্যায় টিউশনি করে রাতে বাসায় ফিরেই কাজ শুরু করতাম। আমি চাই মানুষের কল্যাণে আমার কাজ চালিয়ে যেতে।

রোবট ‘সিনা’কে বর্তমানে কুমিল্লার কোটবাড়িতে অবস্থিত বার্ডের লাইব্রেরিতে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা রোবটটি দেখতে এখানে ভিড় জমায়। কথা হয় রোবটটি দেখতে আসা স্কুল শিক্ষার্থী ফারিহা মিমের সঙ্গে। হাসি মুখে সে বলে, বইয়ের পাতায় রোবট পড়েছি। কিন্তু আমাদের মতো দেখতে, চলতে, কথা বলতে পারে এমন রোবট দেখে অবাক হয়েছি। সে আমাদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা রোবট তৈরি করায় প্রশংসা করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এমরান কবির চৌধুরী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের এখন দরকার অবারিত সুযোগের। আমি সেই সুযোগ তৈরি করে দিতে চাই। তাদের বলব, আগামীর পৃথিবী তোমাদের। তোমরাই গড়বে সেই পৃথিবী।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা