July 11, 2025, 3:57 am
সর্বশেষ:
তারেক রহমানের নির্দেশে ফুলগাজীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ মেঘনার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদ্রাসার ফলাফলের করুণ চিত্র: দলীয়করণ ও দলাদলির বলি শিক্ষার্থীরা মেঘনায় এসএসসির ফলাফলে  শীর্ষে সাহেরা লতিফ বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি স্কুলের ফলাফলে হতাশা মেঘনায় মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাং: স্থানীয় গডফাদারদের মদদে অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে কিশোররা ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে বাল্কহেড আটকে জরিমানা ৩০ হাজার টাকা মেঘনায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযান এখন সময়ের দাবি গণমাধ্যম কর্মী : নতজানুতা বনাম সততা মেঘনা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদ দলের গঠন তন্ত্র অনুযায়ী করা হয়েছে : আক্তারুজ্জামান সরকার অভিযোগহীন অপরাধ: প্রশাসন জানে, তবুও নীরব কেন? জল ঘোলায় রিজিক মেলায় যারা, তারা বিপথগামী, উত্তরণের পথ এখনই জরুরি

জামালপুর শেরপুর জেলার গারোদের বড় উৎসব ‘রংচুগালা’

১২ অক্টোবর ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, শহিদুল ইসলাম কাজল,
স্টাফ রিপোর্টার, জামালপুরঃ আদিবাসী গারো সম্প্রদায়ের অন্যতম একটি উৎসব ‘রংচুগালা’। গারোদের বিশ্বাস খারাপ আত্ম থেকে রক্ষা ও সংসারে সুখ সফলতা গারো সম্প্রাদায়ের রেওয়াজ অনুযায়ী অধিক ফসল উৎপাদনে ফসলের দেবতা ও সৃষ্টিকতার্কে খুশি করতে ‘রংচুগালা’ উৎসবের আয়োজন করে আসছে। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার সীমান্তবতর্ী গারো পাহাড় মরিয়মনগর এলাকায় ‘রংচুগালা’ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
‘রংচুগালার’ অর্থ হচ্ছে চাল থেকে তৈরী চিরা ফসলের মাঠে ছিটিয়ে দেওয়া । ফলে সৃষ্টিকতার্ খুশি হয়ে তাদের ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। শস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ফসলের দেবতা ‘মিসিসিলং’ এবং সৃষ্টিকতার্র অনুগ্রহের প্রয়োজন। তাই এই রীতি শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এসব কার্য সম্পাদন করেন গারো সম্প্রদায়ের ‘খামাল’ বা প্রধান নেতা । উৎসবের শুরুতেই গারোদের ধর্মীয় আচার মন্ত্রপাঠ প্রার্থনা তারপর গারোদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতি উৎসব চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। গারোদের বিশ্বাস তাদের ফসলের দেবতা ‘মিসিসিলং’ এবং সৃষ্টিকতার্কে খুশি করতে বা ধন্যবাদ জানালে প্রচুর ফসল উৎপাদন হয়। আর তাই বছরের ভাদ্র মাসে আগামী ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে আয়োজন করা হয় রংচুগালা উৎসবের।এই উৎসবটি শুধু গারোদের ধর্মীয় আচারে সিমাবদ্ধ না থেকে গারো ও বাঙ্গালীদের মিলন মেলায় রুপান্তরিত হয় । গারোদের কৃষ্টি-কালচার এই পরমপরা যাতে নতুন প্রজন্মের কাছে হারিয়ে না যায় সে জন্য নিয়মিত ভাবে আয়োজন করে। ‘রংচুগালার’ উৎসবে অংগ্রহনকারীরা সবাই প্রচুর আনন্দিত । তবে আয়োজন কমিটির নেতারা মনে করেন এধরনের রড় আয়োজন করতে প্রচুর অর্থের দরকার হয় । যা আমাদের একার পক্ষে আয়োজন করা খুবই কষ্ট সাধ্য তাই সরকারের সহায়তা প্রয়োজন ।
গারো সম্প্রদায় খামাল, জনসন মৃ জানান, বাংলাদেশের গারো সম্প্রদায় বিভিন্ন স্থানে যুগযুগ ধরে এ রংচুগালা পালন করে আসছে। কৃষি নির্ভর গারোদের সৃষ্টিকতার্কে সুন্তুষ্টি না করে তাদের ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব নয় তাই সৃষ্টিকতার্কে খুশি করার জন্য এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা