নিজস্ব প্রতিবেদক
তিনি নিজেকে পরিচয় দেন, পল্টন থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে। কিন্তু পল্টন থানা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিই হয়নি। তার নাম রাশেদুল সরকার রাশেদ। পল্টন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত এই রাশেদের রাজনৈতিক একটা পরিচয় রয়েছে। তিনি পল্টন থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু মাদক ব্যবসাই নয়, পদ না থাকার পরও বর্তমান পল্টন থানা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করছেন তিনি। এমনকি বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনগুলোতেও নিজের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পল্টন থানার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জসিম, মোজাম্মেল, মুনিমকে দিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন রাশেদুল সরকার রাশেদ। এই রাশেদের অপকর্মের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে।
শুধু ভুয়া রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে নিজে কোটি কোটি টাকা আয় করে নিচ্ছেন রাশেদ। নিজ জেলা নরসিংদীতে তিনি ইটের ভাটার মালিকও বনে গেছেন বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রাশেদুল সরকার রাশেদ পল্টন মডেল থানার বোর্ডে চিহ্নিত ডাকাতি মামলার আসামিদের টাঙানো ছবির তালিকা থেকে জসিম এবং মোজাম্মেলের ছবি তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হককে ম্যানেজ করে সরিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে শুক্রবার রাত ১০ টা ৪৩ মিনিটে রাশেদুল সরকার রাশেদকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।