২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্ট :
কুমিল্লা কান্দিরপার পূবালী চত্বর থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজ রুটে চলাচলরত প্রত্যেকের নিকটই রাসেল একটি পরিচিত মুখ। দুই পা এবং একটি হাত না থাকার পরেও সে অন্যদের মত ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে না নিয়ে অটো চালানোর মত একটি ঝুথকিপূর্ণ পেশা বেছে নিয়েছে।
সেই পরিচিত মুখ রাসেলকে কান্দিরপাড়ে মারধর ও ইজিবাইকটি ভাংচুরের অথভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক পুথলিশের এক সহকারী উপ পরিদর্শকের (এটিএসআই) বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এর প্রথতিবাদে প্রায় আধা ঘন্টা রাস্তা বন্ধ করে রাখে অন্যান্য চালক ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাধারণ মানুষ।
এসময় তারা ঘটনায় জথড়িত এটিএসআই তিতাসকে অবরুথদ্ধ করে রাখে। এ ঘটনার একটি ভিডিও বুধবার দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বিষয়টি ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। অবশ্য পুথলিশ বলছে, চালককে মাথরধর কিংবা ইজিবাইক ভাংথচুরের ঘটনা ঘটেনি। তাকে
রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে না রেখে চলে যেতে বলার পরও না যাওয়ায় ইজিবাইকের একটি তার কেটে দেয়া হয়।
ট্রাফিক পুথলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধাবার দুপুরে নগরীর নজরুল এভিনিউ সড়কে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে যাত্রীর জন্য অটোরিক্সা নিয়ে অপেক্ষা করছিলো প্রতিবথন্ধী চালক রাসেল।
এসময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্য তাকে সরে যেতে বললে সে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে রাসেল অটো থেকে নেমে তাকে মাথরা হয়েছে বলে দাবি করে।
এসময় সেখানে থাকা সাধারণ মানুষ রাসেলের পক্ষ নিয়ে ট্রাফিক সদস্যের বিরোথধিতা করে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রাফিক পুথলিশের বিথরুদ্ধে মাথরধর এবং অটো রিক্সা ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ করছে রাসেল।
দুই পা এবং এক পাহীন পঙ্গু রাসেল রাস্তায় নেমে মাটিতে বসে কাঁদছে এবং বার বার অথভিযোগ করছে। এসময় আশেপাশে থাকা সাধারণ মানুষ তার পক্ষ নিয়ে ট্রাফিক পুথলিশ সদস্যকে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
কুমিল্লার ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামাল উদ্দিন জানান, মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। রাসেল প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার প্রতি পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের আন্তরিকতা বেশি। যে কারণে কেউ কেউ উত্তেজিত হয়ে এটিএসআই তিতাসের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়েছে। তথ্য সূত্রঃ দৈনিক কুমিল্লার কাগজ ও দৈনিক আজকের কুমিল্লা।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।