১৮ এপ্রিল ২০২০ , বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্ট :
মধ্যরাতে আইইডিসিআর এর চিকিৎসক পরিচয়ে কেউ করোনার ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করতে এলে তা পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের নামে একদল সন্দেহভাজন একটি বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করে দরজা খুলতে বলে। টাঙ্গাইলে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দফতর করোনারোগীর তথ্য সংগ্রহ ও জরুরি সেবার নামে কেউ বাড়িতে এলে ৯৯৯ বা নিকটস্থ থানায় ফোন করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা মহামারিতেও এক শ্রেনির অপরাধী নানা কৌশলে অপরাধ করার চেষ্টা করছে। মধ্যরাতে করোনা রোগীর তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করার নামে ছদ্মবেশী অপরাধীরা ডাকাতি বা দস্যুতা করতে পারে। এরকম দুই একটি ঘটনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এসেছে। এজন্য আগে থেকেই আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর কর্মকর্তারা সতর্কতা অবলম্বন করছেন।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, আমরা টাঙ্গাইলে এরকম একটি ঘটনার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখেছি। এ কারণে আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সামনে রমজান মাস। এ সময় অপরাধীরা আরও বেশি মরিয়া হয়ে উঠতে পারে। আমরা রাতের প্যাট্রোল ডিউটি বাড়িয়েছি।
পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস নোটে বলা হয়েছে, ‘ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, করোনা রোগীর তথ্য সংগ্রহ ও জরুরিসেবার নামে কিছু দুষ্কৃতকারী সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে অপরাধ সংঘটনের সুযোগ নিচ্ছে। এমতাবস্থায়, সম্মানিত নাগরিকগণকে আহ্বান জানানো যাচ্ছে যে, আপনারা কোনেও অবস্থাতেই আগন্তুকের পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে অথবা তার বা তাদের কার্যক্রমের বৈধতা সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে তাকে বা তাদেরকে আপনাদের গৃহে প্রবেশ করতে দেবেন না। এ বিষয়ে সন্দেহ হলে, নিকটস্থ থানাকে অবহিত করুন অথবা ৯৯৯ এ ফোন করে নিশ্চিত হোন। বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় আপনার পাশে রয়েছে। একইসঙ্গে এ ধরনের দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, করানো মহামারির কারণে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। এ অবস্থায় কিছু অপরাধ হওয়ারও শঙ্কা রয়েছে। এ কারণে লকডাউনের মধ্যে মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি অপরাধ ঠেকাতেও নজরদারি করতে হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি লকডাউনের মধ্যে একটি ডাকাতি ও ছিনতাইকারী চক্র ফাঁকা ঢাকায় অন্তত শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছিল। পরে দুই ফার্মেসিতে ডাকাতির সূত্র ধরে এই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় এই চক্রের দলনেতা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, যে কোনও অপরাধের ক্ষেত্রেই আমরা অনেক কঠোর অবস্থানে রয়েছি। করোনার এই মানবিক বিপর্যয়ে কেউ সুযোগ নিয়ে অপরাধ সংগঠিত করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ কঠোরতা দেখানো হবে।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।