July 27, 2025, 5:43 am
সর্বশেষ:
মেঘনায় এসএসসির প্রশংসাপত্রে স্কুলের টাকা আদায় : প্রধান শিক্ষকের স্বীকারোক্তি ১৫ জেলায় ৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুমতি—উন্নতির পথে অদৃশ্য শক্তি মেঘনায় বিএনপির দ্বন্দ্ব নিরসনে হাইকমান্ডের উদাসীনতায় ভিন্ন দলগুলোর পোয়াবারো মেঘনা ‘দূর্গম’ কেন—পুনর্মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবি মেঘনায় খাস জমি, হালট ও খাল উদ্ধারে প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা দরকার মেঘনায় টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ: বেলে মাটি, অনিয়ম ও ভাঙনের গল্প শিক্ষা সবার জন্য—টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম মেঘনায় বিএনপির ৩১ দফা নারীদের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে: নেতৃত্বে চাই ছাত্রী-নারী সক্রিয়তা

ভুয়া ডিজিএফআই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

১১ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

নড়াইল সিআইডি পুলিশ অভিযান চালিয়ে খন্দকার ওবায়দুর রহমান চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরী (৫০) নামে এক ভুয়া ডিজিএফআই কর্মকর্তাকে রাজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তার কাছ থেকে ডিজিএফআই’র একটি অবৈধ ওয়াকিটকি, ভুয়া পরিচয়পত্র, ৫টি মোবাইল ফোন, বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানির ৮টি সিম এবং সেনাবাহিনীর জন্য নির্ধারিত পোশাকের কাপড় দিয়ে তৈরি একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ওবায়দুর রহমান চুন্নুর মা মরিয়ম বেগমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

নড়াইল সিআইডি পুলিশের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা সিআইডি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার হওয়া ওবায়দুর রহমান চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরী রাজবাড়ি জেলার কালুখালি থানার রুপসা গ্রামের বাসিন্দা।

সিআইডি পুলিশের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ভুয়া ডিজিএফআই কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরীর নামে সাড়ে ২৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২০ অক্টোবর নড়াইলের লোহাগড়া থানায় দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৮/৪৭১ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় ওবায়দুরের স্ত্রী মিনু চৌধুরী এবং মা মরিয়ম বেগমকে আসামি করা হয়।

মামলার বাদী বাকা গ্রামের ফিরোজ মোল্যা এজাহারে উল্লেখ করেন, ওবায়দুর রহমান চুন্নু ওরফে জীবন চৌধুরী লক্ষীপাশাস্থ তার ভ্যান সাইকেলের গ্যারেজে এসে নিজেকে ডিজিএফআই কর্মকর্তা এবং তার পোস্টিং নড়াইলে বলে জানায়। সে আরও বলে সেনাবাহিনীর এমইএস সিভিল শাখায় তাকে চাকরি দিতে পারে। তবে ওই চাকরি পেতে তাকে ১২ লাখ টাকা দিতে হবে। এভাবে চাকরির প্রলোভন দিয়ে সে বিভিন্ন সময়ে ফিরোজ মোল্যাসহ বিল্লু মঙ্গল রায়,তরিকুল ইসলাম এবং সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে ২৯ লাখ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেয় এবং ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে। মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের পর সিআইডি পুলিশের একটি দল গত ১১ নভেম্বর ভোরে রাজবাড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি ওবায়দুর ও তার মাকে গ্রেপ্তার করে। অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার আরও জানান, ওবায়দুর একজন পেশাদার প্রতারক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় একাধিক মামলা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা