১৫ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার মাইন্ড এইড হাসপাতালের দুই কর্মচারী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (১৫ নভেম্বর) রিমান্ড চলাকালে কিচেন সেফ মাসুদ খান এবং ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তাদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ফারুক মোল্লা। তিনি আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
গত ১০ নভেম্বর এ দুই আসামিসহ ১০ জনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে রোববার পরিচালক ফাতেমা খাতুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলাটিতে গ্রেপ্তার হাসপাতালের আরেক পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাখাওয়াত হোসেন ও সাজ্জাদ আমিন এখনো অধরা রয়েছেন।
জানা যায়, পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করে পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে।
সবশেষ আনিসুল করিম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।