May 8, 2024, 11:25 am
সর্বশেষ:
সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক

কুড়িগ্রামে এখনো ঠাঁই মেলেনি ভাঙনের শিকার ৮ হাজার পরিবারের

১৬ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

কুড়িগ্রামে এ বছর নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে প্রায় আট হাজার পরিবার। এসব পরিবারের এখনো মাথা গোঁজার ঠাঁই মেলেনি।

বসতভিটে না থাকায় মালামাল নিয়ে বাঁধ, রাস্তা ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় অনেকেই টিনের চালা, পলিথিন ও তাঁবু খাটিয়ে বাস করছেন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানায়, দীর্ঘ মেয়াদি বন্যা ও নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারানো ছয় উপজেলার ছয় হাজার পরিবারের একটি তালিকা প্রথম দফায় পাঠানো হয়েছে। এরপর আরও একটি তালিকা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায় যে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও সোনাভরির ভাঙনে অনেকের ঘরবাড়ি ও বসতভিটে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাঁধ ও রাস্তার পাশে ঝুপড়ি ঘরে বাস করছেন। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারেনি ভাঙনকবলিত হতদরিদ্র পরিবারগুলো। বর্তমানে তাদের চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে।

সদর উপজেলার সারডোব গ্রামের জহির উদ্দিন জানান, নদী ভাঙনের তীব্রতার মুখে বাড়ির অনেক মালামাল ভেসে গেছে। তিনটি ঘরের চাল ভেঙে নৌকায় করে এনেছেন ফাঁকা জায়গায়। সেখানে মাচা করে রেখেছেন টিনগুলো। নৌকা ভাড়া ও বাড়ি স্থানান্তরের খরচ মেটাতে শতকরা ২০ টাকা সুদে ২০ হাজার টাকা দাদন নিয়েছেন তিনি।

সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের জগমোহনের চর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নেয়া আলী হোসেন বলেন, ‘বাবা, দুইটা ঘর ভাসি গেইচে। একটা কোনোমতে আটকেয়া ছাপড়া তুলি আছি। খাওয়া-দাওয়ার খুব কষ্ট হইচে। ভিটে তো নাই, এলা যামো কোটে!’

সদর উপজেলার জগমোহনের চর ছাড়াও পাঁছগাছি, যাত্রাপুর, নাগেশ্বরীর নুনখাওয়া, রায়গঞ্জ, ভুরুঙ্গামারীর চর ভুরুঙ্গামারী, উলিপুরের বজরা, থেতরাই, চিলমারীর নয়ারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার মানুষ নদী ভাঙনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বন্যার সময় তারা সরকারি ও বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা পেলেও বর্তমানে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই।

ফসল নষ্ট হওয়ায় কাজও নেই বন্যাকবলিত চরাঞ্চলে। খাদ্য ও অর্থ সংকটে নাকাল ভিটেহারা পরিবারগুলো। জরুরি ভিত্তিতে ঢেউটিন ও অর্থ সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসনের দাবি দুর্ভোগে পড়া হাজারও পরিবারের।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর জন্য নগদ অর্থ ও ঢেউটিন চাওয়া হয়েছে। এখনও পাওয়া যায়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক অনুদান সহায়তা ও গৃহহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার চলমান কর্মসূচিতে বরাদ্দ পাওয়ার কথা রয়েছে। এসব সহায়তা পেলে সরকারি নিয়মে তা বিতরণ করা হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা