May 8, 2024, 4:05 pm
সর্বশেষ:
সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক

বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কিশোরীর অনশন

১৬ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিয়ের দাবিতে আনন্দ নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে ২ দিন ধরে অনশন করছেন এক কিশোরী (১৫)। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের জয়কুমর গড়েরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কনস্টেবল আনন্দ একই এলাকার অমল চন্দ্র রায়ের ছেলে। মেয়েটি তার বাড়িতে অবস্থানের সময় পুলিশ কনস্টেবল আনন্দ তার কর্মস্থল লালমনিরহাটে আছেন।

ওই কিশোরীর অভিযোগ, ৪ বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আনন্দের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিকভাবে ৩ লাখ টাকা যৌতুকে বিয়ের আলোচনাও হয়। কিন্তু মাঝখানে দুজনের মধ্যে কথা বন্ধ হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আনন্দ অন্যত্র ১২ লাখ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ের আলাপ চূড়ান্ত করেছে।

তাই আমি রোববার (১৫ নভেম্বর) থেকে বিয়ের দাবিতে আনন্দের বাসায় এসেছি। আনন্দ এর আগে আমাকে বিয়ের কথা বলে তিস্তায় তার পিসতোতো বোনের বাসায় নিয়ে গিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। আমি বিয়ের কথা বললে টালবাহানা করে আমাকে বিয়ে না করে বাড়িতে ফেরত পাঠায়।

আবার গত ২২ আগস্টও বিয়ের কথা বলে ফুসলিয়ে তিস্তার মোস্তফিতে আনন্দের তালতো বোনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করে। শারীরিক সম্পর্ক করার পর আমি আবারো বিয়ের কথা বললে নানা টালবাহানা করে।

এরপর থেকে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে। আনন্দ আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকুও শেষ করে দিয়েছে। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আমার জীবন শেষ করে দেব বলে আনন্দের পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয় ওই কিশোরী।

এদিকে সাংবাদিকরা আনন্দের বাসায় মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে গেলে আনন্দের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। পরে আনন্দের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে আনন্দ সাংবাদিক শুনেই ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে ছিনাই ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি শুনেছি মেয়েটি আনন্দের বাড়িতে আছে।

রাজারহাট থানার ওসি মো. রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটি দশম শ্রেণির ছাত্রী। বয়স কম। এছাড়া ওই ছেলের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের বিয়ের আশীর্বাদ হয়ে আছে। মেয়েটিকে তার অভিভাবকের কাছে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা