May 1, 2024, 4:18 am
সর্বশেষ:
মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হেট্ট্রিক করতে ভোটারের দ্বারেদ্বারে শিরিন মেঘনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় জনাকীর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনে চলছে কার্যক্রম

সাজাপ্রাপ্ত আসামির দিন কাটছে মাদকবিরোধী প্রচারণায়

২ ডিসেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

মা-বাবার সেবা, গাছ লাগানো ও মাদকবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে সময় কাটছে মাদক মামলার এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাসান আলী সরদারের।

হাসান আলী সরদার (৩৮) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালি ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের রজব আলী সরদারের ছেলে। জানা যায়, সাত বছর আগে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন হাসান আলী। ২০১৫ সালে তিন কেজি গাঁজাসহ সাতক্ষীরা সদরের খানপুর বাজার এলাকা থেকে র‌্যাবের হাতে আটক হয়ে দীর্ঘদিন ছিলেন কারাগারে। র‌্যাবের পক্ষ থেকে দেয়া হয় একটি মাদক মামলা।

গত ১০ নভেম্বর সাক্ষ্য শেষে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ইয়াসমিন নাহার মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এক বছর সাজা প্রদান করে পাঁচটি শর্তে আসামিকে প্রবেশনে বাড়িতে থাকার সুযোগ দেয়া হয়। শর্ত ভঙ্গ করলে আসামিকে আবারো যেতে হবে কারাগারে। শর্ত সঠিকভাবে পালন করলে এক বছরের সাজা বাতিল হয়ে যাবে।

বাড়িতে হাসান আলী সরদার কী করছেন জানতে যাওয়া হয় ওই বাড়িতে। দেখা যায়, কুল বাগানে কাজ করছেন হাসান আলী। লাগিয়েছেন ১০টি মেহগনি গাছ।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাসান আলী জানান, আদালত যে শর্ত দিয়ে আমাকে বাড়িতে থাকার সুযোগ দিয়েছেন সেই সকল শর্ত আমি মেনে চলছি। গাছ লাগিয়েছি, কুলের বাগান করে ব্যবসা শুরু করেছি। মাদকবিরোধী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি। মা-বাবার সেবা করছি।

যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত তাদের উদ্দেশে বলব, আমাকে দেখে শিখুন। মাদক ভালো জিনিস নয়, সমাজকে ক্ষতি করে। আপনারা ভালো হয়ে যান।

হাসান আলীর বাবা রজব আলী সরদার বলেন, হাসান এখন অনেক বদলে গেছে। মাঠে-ঘাটে কাজ করে। আমাদের খোঁজখবর নেয়, সেবাযত্ন করে। এতে আমরা খুশি।

মা আকলিমা খাতুন জানান, বাড়িতে গাছ লাগিয়েছে, ঘের করছে, কুলবাগান করেছে। আমাদের সেবাযত্ন সব সময় করে। বউ-বাচ্চারও সেবা করে। আগের থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে তার।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদ হুসাইন জানান, আদালতের শর্ত মেনে গাছ লাগানো ও মাদকবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে সে। সামাজিক মানুষদের সঙ্গে চলাফেরা করছে। হাসানের মতো যদি সকলেই মাদককে না বলে মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ড শুরু করে তাহলেই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল হবে।

মাদক মামলাটি পরিচালনাকারী আসামি পক্ষের আইনজীবী এটিএম ফখরুল আলম জানান, তিন কেজি গাঁজাসহ আটকের পর র্যাব সাতক্ষীরা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মাদক মামলা দায়ের করে। মামলার জিআর নং ৪৩/১৫ (টিআর ২৯/১৬)।

গত ১০ নভেম্বর মামলাটির রায় ঘোষণা করেন আদালত। আদালত আসামিকে এক বছরের সাজা দিয়ে বাড়িতে প্রবেশনে পাঠিয়েছেন সংশোধনের জন্য। সেখানে পাঁচটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করলে আসামিকে আবারো কারাগারে যেতে হবে। শর্ত মানলে, সাজা বাতিল হবে।

তাছাড়া জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তাকে তিন মাস পর পর একটি রিপোর্ট দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

সাতক্ষীরা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন কর্মকর্তা সুমনা শারমিন জানান, এখন ছেলেটি অনেক ভালো কাজ করছে। আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। সেও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে নিয়মিত। মাছের ঘের করাসহ যে সকল শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে সকল শর্ত মেনে কাজ করছে। গাছ লাগিয়েছে, মাদকবিরোধী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর একটি মাদকবিরোধী প্রচারণায় আমাদেরও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা