May 8, 2024, 4:10 am
সর্বশেষ:
সম্ভাবনার ‘মেঘনা’ ও জনপ্রতিনিধি নির্বিঘ্নে সবাই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন : অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদএমপি মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক

বৌভাতের অনুষ্ঠানে হলো বরের জানাজা, কনে গেলো হাসপাতালে

৩ ডিসেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

দুদিন আগেই জাঁকজমকভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় রফিকুল ও ময়না আক্তারের। বৌভাতের অনুষ্ঠানের সব কার্যক্রমও চলছিল বেশ ধুমধাম করে। কনেপক্ষ ঢাকঢোল পিটিয়ে আনন্দ উল্লাস করে গাড়িবহর নিয়ে উপস্থিত হন বরের বাড়িতে। সেই অনুষ্ঠানেই খবর ছড়িয়ে পড়ে বর মারা গেছেন। পরে অনুষ্ঠানস্থলেই হয় বরের জানাজা।

এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে বুধবার (২ ডিসেম্বর) পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের বাজিতা গ্রামে। বিয়ের সব আয়োজন রেখেই ওই দিন বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় বর মো. রফিকুল ইসলাম (২৫)-কে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার (৩০ নভেম্বর) মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের বাজিতা গ্রামের সফেজ মিয়ার ছেলে মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার বাসন্ডা গ্রামের মো. মন্নান মিয়ার মেয়ে ময়না আক্তারের (১৮) বিয়ে হয়। ওই দিনই মেয়েকে বউ সাজিয়ে নিয়ে আসা হয় বরের বাড়ি বাজিতা গ্রামে।

পরদিন মঙ্গলবার রাতে বর রফিক নিজ বাড়িতে স্বাভাবিক জ্বর নিয়ে একটু অসুস্থ বোধ করেন। বুধবার সকালে চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে নির্ধারিত তারিখে বুধবার বর রফিকের বাড়িতে কনে পক্ষের জন্য বৌভাতের আয়োজন করা হয়। বৌভাতে কনেপক্ষের লোকজন বরের বাড়িতে পৌঁছলেই খবর আসে রফিক আর বেঁচে নেই। এ খবরে বিয়ের আনন্দ মাতমে পরিণত হয়। আর স্বামীর মৃত্যুর খবরে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন নববধূ ময়না আক্তার। তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাবা-মা উভয়েই পাগলপ্রায়। আত্মীয়স্বজনসহ এলাকাবাসীর সান্ত্বনা দেয়ার কোনো ভাষা নেই। মেহমানদের জন্য রান্না করা খাবার বাড়ির আঙিনায় থরে থরে সাজানো পাতিলেই রয়ে গেছে।

মৃত রফিকুল ইসলামের চাচা পশ্চিম চৈতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনসার উদ্দিন জানান, রফিকের বাবা সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে রেকর্ড অফিসে (সিভিল বিভাগ) কর্মরত আছেন। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে মা বাড়িতে থাকতেন। রফিক ও আমি রোববার একত্রে বিয়ের সব কেনাকাটা করি কিন্তু আজ আমাদের মাঝে সে আর নেই। সব কিছুই শেষ হয়ে গেল।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা