May 2, 2024, 3:43 am
সর্বশেষ:
মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হেট্ট্রিক করতে ভোটারের দ্বারেদ্বারে শিরিন মেঘনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় জনাকীর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনে চলছে কার্যক্রম

প্রেমের বিয়েতে আপত্তি, বর-কনেকে গুলি করে হত্যা চাচার

০১ জানুয়ারী ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিয়ের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আদালতে যাচ্ছিলেন বর ও কনে। সঙ্গে ছিলেন ছেলে পক্ষের আত্মীয়রাও। কিন্তু প্রেমের বিয়ে মানতে পারেননি মেয়ের চাচা। ফলে আদালতে পৌঁছানোর আগে কথাবার্তা বলার নামে ডেকে এনে প্রকাশ্যে তাদের গুলি করে হত্যা করল মেয়ের চাচা ও তার ছেলেরা।

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রোহতক জেলার দিল্লি বাইপাস রোডের কাছে বুধবার এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন ছেলেটির ভাইও। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৭ বছরের পূজার সঙ্গে ২৫ বছরের রোহিতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুরু থেকেই এ সম্পর্ক মেনে নেয়নি মেয়েটির চাচা। দু’জন জাঠ সম্প্রদায়ের হলেও আলাদা গ্রামে থাকতেন। অনাথ পূজা ছোট থেকেই চাচার কাছে মানুষ। কয়েক মাস আগে রোহিতের সঙ্গে আলাপ হয় পূজার। পরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

রোহিতের মা জানান, এই বিয়ে নিয়ে প্রথমে দুই পরিবারেই আপত্তি ছিল। অনেক বোঝানোর পরে রোহিতের পরিবার রাজি হয়। আর শুরুতে রাজি না থাকলেও পরে পূজার কাকা কুলদীপ তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছিলেন এবং তাদের আশীর্বাদ করে বিয়ে দিতে রাজি হন। পূজার মা সন্তোষ পুলিশকে জানান, কথা বলার নাম করে আদালতে যাওয়ার আগে বুধবার আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসে মেয়ের চাচা ও আত্মীয়রা। পরে দিল্লি বাইপাস রোডের কাছে বাজারের মধ্যে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, কুলদীপই রোহিতের আত্মীয়দের বিয়ের সময় উপস্থিত থাকার জন্য আদালতে ডেকেছিলেন। পরে বিয়ে সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলার জন্য তাদের মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ডেকে পাঠান। রোহিতের পরিবার সেখানে হাজির হলে তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় কুলদীপ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বর ও কনের।

এ ঘটনায় রোহিতের বাবার অভিযোগের পর পুলিশ পূজার চাচা, তার ছেলে কপিল কুমার ও আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের ধারণা, পরিবারের সম্মান রক্ষার নামেই তাদের খুন করেছেন কুলদীপ। তবে এর পেছনে সম্পত্তি সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা