October 15, 2025, 4:33 pm
সর্বশেষ:
মেঘনার জলারপার নোয়াগাঁওয়ে গ্রামবাসীর উদ্যোগে ভোটকেন্দ্রে নতুন কক্ষ নির্মাণ হয় পদ দিন; নয়তো টাকা ফেরত দিন দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের তিনটি অভিযানে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা উদঘাটন সাহসিকতায় অনন্য নজির: পিপিএম পদকে ভূষিত হলেন এসআই খাজু মিয়া নির্বাচনী দায়িত্বে দক্ষতা বৃদ্ধিতে পুলিশের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত নিজের বিবেক লিজ দেবেন না: দুদক কমিশনার তিতাস নদীতে ভাসছে ‘মিস্ট্রি হাউস’, কৌতূহল ছড়াচ্ছে চারপাশে মেঘনার দম্পতি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত — এলাকায় শোকের মাতম মেঘনায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে মহড়া, র‍্যালি ও আলোচনা গজারিয়ার আনার পুর পরিকল্পিত ইউটার্ণের অভাবে মহাসড়ক এখন মৃত্যুফাঁদ

যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন ফারুক আব্বাসী

৩১ মার্চ,২০২১,বিন্দুবাংলা টিভি. কম, স্টাফ রিপোর্টার :কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী রাতে সমকালকে গ্রেপ্তার  বিষয়টি নিশ্চিত করে  বলেন  আমাদের কাছে তথ্য ছিল দুটি মামলায় ওই চেয়ারম্যান উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিনে রয়েছেন। তবে বাদীপক্ষ ওই জামিন বাতিলের জন্য আপিল করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই চেয়ারম্যানের অস্ত্র মামলার আগাম জামিন আপিল বিভাগ স্থগিত করেছেন বলে আমরা জেনেছি। এরপর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য গত দু’দিন আমরা তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখি। বুধবার নিশ্চিত হই, অস্ত্র মামলায় তাকে উচ্চ আদালতের দেওয়া আগাম জামিনটি স্থগিত করা হয়েছে। এরপর অভিযান চালিয়ে তাকে বুধবার বিকেলে ঢাকার হাজারীবাগ থানার পূর্ব রায়েরবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেঘনা উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসী ভাওরখোলা গ্রামে নাজমা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি। এ ছাড়া গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই হত্যাকাণ্ডের দিন তার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তাকে প্রধান আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। বুধবার ওই অস্ত্র মামলায় কুমিল্লা জেলা ও মেঘনা থানা পুলিশের সদস্যরা ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিয়াজী আরও জানান, চেয়ারম্যান আব্বাসী বর্তমানে তাদের হেফাজতে রয়েছেন।  বৃহস্পতিবার তাকে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এ ছাড়া তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

গত ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে আব্বাসীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম সিরাজের। এর জের ধরে ১৯ ফেব্রুয়ারি ভাওরখোলা গ্রামে আব্বাসীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সিরাজ ও তার ভাই আবদুস সালামের ঘরে হামলা চালিয়ে ৬ জনকে কুপিয়ে আহত করে। এর মধ্যে মারা যান সালামের স্ত্রী নাজমা বেগম। এ ঘটনার পরদিন ফারুক আব্বাসীকে প্রধান আসামি করে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের দেবর সিরাজুল ইসলাম।

এ ছাড়া অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আব্বাসীকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মেঘনা থানার এসআই নাজিম উদ্দিন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা