July 26, 2025, 8:30 am
সর্বশেষ:
মেঘনায় এসএসসির প্রশংসাপত্রে স্কুলের টাকা আদায় : প্রধান শিক্ষকের স্বীকারোক্তি ১৫ জেলায় ৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুমতি—উন্নতির পথে অদৃশ্য শক্তি মেঘনায় বিএনপির দ্বন্দ্ব নিরসনে হাইকমান্ডের উদাসীনতায় ভিন্ন দলগুলোর পোয়াবারো মেঘনা ‘দূর্গম’ কেন—পুনর্মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবি মেঘনায় খাস জমি, হালট ও খাল উদ্ধারে প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা দরকার মেঘনায় টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ: বেলে মাটি, অনিয়ম ও ভাঙনের গল্প শিক্ষা সবার জন্য—টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম মেঘনায় বিএনপির ৩১ দফা নারীদের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে: নেতৃত্বে চাই ছাত্রী-নারী সক্রিয়তা

আমাদের মুক্তির ঠিকানা মেঘনা উপজেলা প্রতিষ্ঠায় আপনার অবদান স্মরিব প্রত্যহ-চিরকাল: শফিকুল আলম

১০ জুলাই ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

আমাদের মুক্তির ঠিকানা মেঘনা উপজেলা প্রতিষ্ঠায় আপনার অবদান স্মরিব প্রত্যহ-চিরকাল। ২০ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে মেঘনা উপজেলার দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনসাধারনের পক্ষ হতে নিবেদন করছি গভীর শ্রদ্বান্জলী।

আজ উনার মৃত্যু বার্ষিকী । ২০০১ সালের ১০ জুলাই স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই নশ্বর পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন।

ব্যাক্তি হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, সজ্জন ব্যক্তি। দায়িত্ববোধের কাছে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। একাধারে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের একজন সফল স্পিকার, একজন সফল পররাষ্ট্র মন্ত্রী, ছিলেন ঝানু একজন কূটনীতিক। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত-এর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৯৮৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।

মরহুম স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন মূলত এক জন পেশাদার কূটনীতিবিদ। তিনি ১৯২৮ সালের ১১ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আব্দুর রশীদ চৌধুরী এবং মাতা সিরাজুন্নেসা চৌধুরী। তারা দুই জনেই ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। জনকল্যাণমুখী রাজনীতি ছিল তাদের মর্মমূলে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালনকারী এই দম্পতির মতো হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জীবনের পুরোটাই সাফল্যে ভরপুর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়, তখন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন বেলজিয়ামে। দেশে না থাকায় বেঁচে যান তারা। তবে দেশের বাইরেও জীবন সংশয় ছিল। বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সানাউল হক শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানান। সেসময় হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়েকে জার্মানিতে (তখনকার পশ্চিম জার্মানি) আশ্রয় দেন। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ১৯৭৫ সালে জার্মানির রাষ্ট্রদূত ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেন তিনি।
(তথ্য সূত্রঃ Nojibur Rahman স্যার)

১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার অনুরোধে সরাসরি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী সিলেট-১ আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন এবং জাতীয় সংসদের স্পীকার নির্বাচিত হন। এবং স্পীকার থাকা কালীন আবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।।

ভালবাসার সাথে শ্রদ্ধাঞ্জলি
মহামতি #হুমায়ুন_রশীদ_চৌধুরী।।

শফিকুল আলমের ফেসবুক ওয়াল থেকে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা