November 22, 2024, 10:26 am

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে বেলজিয়ামে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

 

৪ফেব্রুয়ারি ২০২২,বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
বিশেষ প্রতিনিধিঃ দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৬ জানুয়ারি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বেলজিয়াম শাখার উদ্যোগে রাজধানী ব্রাসেলসের প্রেস ক্লাবে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত প্রতিবাদ সভায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ সমূহের জাতীয়তাবাদী দলের নেত্রীবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।

এ সম্মেলন কে গুরুত্ত দিয়ে বেলজিউম এর ব্রাসেলস ভিত্তিক গুরুপূর্ণ আন্তর্জাতিক মিডিয়া “ই ইউ টুডে” একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয় “খালেদা জিয়া হলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশের ইতিহাসে প্রথম মহিলা এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলিতে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। যদি খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া না হয়, তাহলে তারা তার জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে।

ঐ প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হল ; – বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) র প্রবীণ নেতা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার চিকিৎসকবৃন্দ জানিয়েছেন তিনি সম্প্রতি আরও তিনটি বড় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে ভুগছেন।
ঐ প্রতিবেদনে একজন প্রাক্তন এমইপি ( MEP) এবং যুক্তরাজ্যে একজন সহকর্মী লর্ড ওয়াজিদ খান শহরের প্রেসক্লাবে একটি ইভেন্টে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে উপস্থিত হয়েছিলেন। যেখানে সমর্থকরা তার মামলা নিয়ে বিতর্ক করতে জড়ো হয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন যে, তিনি তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তাদের আহ্বানকে সমর্থন করেছেন, যাতে তিনি ইউরোপে চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন। তিনি বলেন, “দেশে কী ভুল হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়েছে এই মামলায়। এটা শুধু রাজনীতি নয়, একজন মানুষের মৌলিক মানবাধিকার এরও বিষয়।

গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে গৃহবন্দি থাকার দাবি করা সাবেক বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার জন্য ইইউকে আহ্বান জানানো হয়েছে। তার সমর্থকরা বুধবার ব্রাসেলসে তার মামলার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর সমর্থন লাভের জন্য রাস্তায় নেমেছিল।
তার মন্তব্যটি প্রতিধ্বনিত হয়েছিল বিএনপির মহাসচিব বাবু মিশেল কন্ঠে, তিনি বলেন, “ ১২টি মানবাধিকার সংস্থা তাকে চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সভাপতি এবং বেলজিয়ামে বসবাসরত সৈয়দুর রহমান বলেন, “খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ এবং আমরা জানি না তিনি আর কতদিন বাঁচবেন। তিনি দেশে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না , তাই তাকে জরুরিভাবে চলে যেতে হবে। তাকে এভাবে আটকে রাখা মেনে নেয়া যায় না।
“এটি ১৮০ মিলিয়ন মানুষের দেশ এবং তাদের ৬০ শতাংশ বিএনপিকে সমর্থন করে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাথে খারাপ কিছু হলে আমি আশঙ্কা করি দেশে গুরুতর নাগরিক অস্থিরতা দেখা দেবে। এটি একটি গৃহযুদ্ধের ঘটনায় উদ্বাস্তুদের সম্ভাব্য আগমনের সাথে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়বে। এটি একটি কারণ কেন ইইউকে এই মামলায় জেগে ওঠা এবং এখনই হস্তক্ষেপ করা উচিত।”
খালেদা জিয়া কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়ার মাত্র পাঁচ মাস পরে ১৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ছিলেন।কিন্তু প্রধান বিরোধী দলের নেতাকে ২০১৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর একটি আদালত তাকে উন্নত চিকিৎসার বিদেশে যেতে বাধা দিচ্ছে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায়, বিএনপি কর্মী ও সমর্থকরা তাকে চিকিৎসার জন্য ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার দাবিতে ব্রাসেলসের মতো জায়গায় বিক্ষোভ করছে।
রহমান আরও বলেন, “আমরা বুধবার কমিশনের কাছে একটি মানববন্ধন করেছি এবং এই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মোমবাতি জ্বালিয়েছি। সরকার তাকে চলে যাওয়ার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে, কারণ তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।”
অভিযোগ করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ২০০৭ সালে কাতার সরকারের কাছ থেকে তহবিল ভুলভাবে ব্যয় করেছিলেন। তিনি দৃঢ়ভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেছেন যে তারা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই কাজ করছে। খালেদা জিয়া ঐ অ্যাকাউন্ট থেকে কোন টাকাই ধরেন নাই, মূলত ঐ টাকা এখন ব্যাংক এ দুই গুন হয়েছে যা সঠিক তদন্ত করলেই আসল সত্যি বেরিয়ে আসবে।
রহমান বলেন, এটা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ইইউ সর্বদা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের জন্য ঢোল বাজিয়ে চলেছে তাই আমরা এখন এই বিশেষ লঙ্ঘন সম্পর্কে কিছু করতে বলছি।
“তিনি এই তহবিল থেকে ব্যক্তিগতভাবে ভোগ করেননি বরং তা দেশের একটি দাতব্য সংস্থায় প্রদান করা হয়েছিল ।

ঐ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে ;- খালেদা জিয়া দেশে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ২০০৬ সালে ক্ষমতা ছেড়ে দেশে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকারের পথ তৈরিতে তার এই অবদান সর্বজন স্বীকৃত। খালেদা জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকারের উন্নয়ন এবং নারীর অধিকার এবং শিক্ষার উন্নয়নের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে কৃতিত্বের অধিকারী।

এক প্রশ্নের জবাবে বেলজিয়াম বিএনপির সাধারন সম্পাদক ইকবাল হুসাইন বাবু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী ছিলেন। স্বৈরাচারী সরকার কে হটাতে তার ভুমিকা সর্বজনবিদিত ।আমাদের এই আপোষহীন নেত্রী কখনও দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। বর্তমান সরকার জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্য এবং রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে এই ঘৃণ্য চক্রান্ত করে চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা