নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছেন বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক সাফজয়ী নারী ফুটবলার রাজিয়া খাতুন। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের ফুটবলার ছিলেন তিনি।
রাজিয়ার মৃত্যুর দুঃসংবাদটি নিশ্চিত করেছেন নারী ফুটবলের সহকারী কোচ মাহমুদা আক্তার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, ‘অনুশীলনের পর ক্যাম্পে আসার পর আমি রাজিয়ার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। শোনার পর আমার ভীষণ খারাপ লাগছে।’
২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নারী দলের ক্যাম্পে ছিলেন ফরোয়ার্ড রাজিয়া। সানজিদা-মারিয়াদের দলে থেকে ২০১৮ সালে জিতেছেন অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ। খেলেছেন জাতীয় দলেও। ছিলেন ২০১৯ সাফের দলে। মূল একাদশে সুযোগ হয়নি তেমন, খেলেছেন বদলি হিসেবে।
২০২০ সালে করোনার পর থেকে ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েন রাজিয়া। ক্যাম্পে জায়গা হারালেও খেলা চালিয়ে গেছেন নিয়মিত। খেলেছেন নারী লিগেও। ২০১৯-২০ নারী লিগে নাসরিন স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে করেছিলেন ৩ গোল। সবশেষ নারী লিগে খেলেছেন এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হয়ে।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরই বিয়ে করেন রাজিয়া। গতকাল জন্ম দেন ছেলে সন্তানের। সন্তান সুস্থ থাকলেও আজ ভোরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান সাবেক এই ফরোয়ার্ড। রাজিয়ার অকাল মৃত্যুর খবরকে দুঃখজনক বলছেন সাফজয়ী নারী দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘খুব ছোট থেকে ওরা বাফুফেতে থেকেছে। মারিয়া, সানজিদা, কৃষ্ণা, রাজিয়া; অনেক দিন ওরা এক সঙ্গে থেকেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আধুনিক যুগে কোনো মা বাচ্চা প্রসবের সময় মারা যাবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আরেকটু যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল। তাহলে মেয়েটাকে বাঁচানো যেত।’
জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনার এলাকা সাতক্ষীরার মেয়ে রাজিয়া। এলাকার সাবেক সতীর্থের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সাবিনা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শান্তিতে ঘুমাও। যে শান্তিটা তোমার প্রাপ্য ছিল, এবার হয়তো সেটা পাবে।’
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।